বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। রিহার্সেল হয়ে গেছে। পাত্র ও পাত্রীপক্ষ সব সাজিয়ে নিয়েছেন। বিয়ের দিন চলে এলো। অন্য পাত্রীদের মতো এ দিনটিতে প্রিয়াংকা ত্রিপাটিও তার জীবনসঙ্গীর স্পর্শ পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন। বরযাত্রী এলো। তখন লাউড স্পিকারে বাজছিল বলিউঢের গান। সেই গান উতলা করে তুললো বর অনুভব মিশ্রকে। তাকে বরণ করে নেয়ার সব আয়োজন চলছে তখন। কিন্তু তিনি করলেন কি? তিনি দৌড়ে চলে গেলেন বিয়ের মঞ্চে। বলিউডের ওই গানের তালে তালে তিনি ‘নাগিন ড্যান্স’ শুরু করলেন। টালমাতাল নাচ। তা দেখে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেলেন কনে পক্ষ। প্রিয়াংকা তো লজ্জায় মুখই তুলতে পারছেন না। এক পর্যায়ে তিনি বিয়েই ভেঙে দিলেন। সংঘর্ষ হতে পারে এ জন্য মোতায়েন করা হলো পুলিশ। এর দুদিন পর তিনি বিয়ে করে নিলেন অন্য এক পাত্রকে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর এলাকায়। ভারতীয় মিডিয়ার মতে, ওই এলাকার ২৩ বছর বয়সী প্রিয়াংকার সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয় অনুভব মিশ্রের। তারা দু’জনেই একই গোষ্ঠীর ও অভিন্ন পারিবারিক বন্ধন রয়েছে তাদের। বিয়ের আগে রিহার্সেল সহ সব আয়োজন শেষ করার পর এলো বিয়ের দিন। তখন বরকে বরণ করার সময় বর উল্টো দৌড়ে ছুটে যান বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত মঞ্চে। সেখানে আগে থেকেই একজন ডিজে বাজাচ্ছিলেন নাগিন সংশ্লিষ্ট গান। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে নাগিন নাচ শুরু করেন অনুভব। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এ সময় অনুভব ছিলেন মদ্যপ। তার কোনো সেন্স ছিল না। তিনি মঞ্চের ওপর দিয়ে নাচের নামে গড়াগড়ি খেয়েছেন। তার এমন বেহুঁশ নাচ দেখে হতবাক হয়ে পড়ে কনেপক্ষ। প্রিয়াংকার মুখে তখন কথা সরে না। এমন অবমাননাকর অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন একজন মদ পানকারীকে তিনি বিয়ে করবেন না। তাই সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেন তিনি। তবে বরপক্ষ তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয় নি। ফলে বরপক্ষকে ওই বিয়ের আসর ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এর একদিন পরে প্রিয়াংকা বিয়ে করেছেন মার্জিত রুচির এক যুবককে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn