নিউইর্য়কে মঈন ইউ আহমেদ যা বললেন
বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান, জেনারেল (অবঃ) মইন ইউ আহমেদ বলেছেন, তিনি কখনোই ‘শেখ হাসিনাকে বিচক্ষন, বেগম জিয়াকে প্রতিহিংসাপরায়ন’ বলেননি কিংবা লিখেনওনি। এ ধরনের মন্তব্য সংক্রান্ত কোন বইও তার প্রকাশ হচ্ছেনা। যারা এসব বলছেন বা লিখছেন, এটা সম্পূর্ণই তাদের কল্পনাপ্রসূত ও মনগড়া বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসব মনগড়া বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ আমেরিকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ঠিকানাকে জানান, এসব মিথ্যাচার তাঁকে ভীষকেকষ্ঠ দেয়। নতুন কোন বইও আপাতত তিনি প্রকাশ করছেননা বলে জানান। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ফ্রব্রুয়ারীতে প্রকাশিত হয় আমার দবিতীয় বই ‘শান্তির স্বপ্নে’। পাঠকদের অনুরোধে এই বইটি আমি সমপ্রতি ইংরেজীতে অনুবাদ করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি প্রকাশের কোন সিদ্ধান্ত নেইনি কিংবা কোন প্রকাশককে এর পান্ডুলিপিও দেইনি। আমি জানি না, বাংলাদেশের মিডিয়া কোথা থেকে খবর পেলো এবং কিভাবেই বা এমন মনগড় কথা প্রকাশ করলো।
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টবোর একটি অনলাইন মিডিয়ায় ‘শেখ হাসিনাকে বিচক্ষন, বেগম জিয়াকে প্রতিহিংসাপরায়ন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারীতে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের নতুন বই বাজারে আসছে। এজন্য নাকি তিনি এরই মধ্যে বইয়ের পান্ডুলিপি ‘পেঙ্গুইন র্যানডম’ নামের পাবলিশার্সের কাছে জমা দিয়েছেন। সেখানে তিনি ‘শেখ হাসিনাকে বিচক্ষন, দেশপ্রেমিক এবং রাষ্ট্রনায়োকোচিত গুণাবলী সম্পন্ন রাজনীতিবিদ’, আর বেগম জিয়াকে ‘পরিবারকেন্দ্রিক, অস্থির এবং প্রতিহিংসাপরায়ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ প্রসঙ্গে মঈন ইউ আহমেদ জানান, ২০০৮ সালে আমার প্রথম বই ‘নির্বাচিত সংকলন’ প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় বই ‘শান্তির স্বপ্নে’ প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে। শান্তির ‘শান্তির স্বপ্নে’ বইটি ইংরেজীতে অনুবাদ করেছি। এর ইংরেজী নাম হচ্ছে ‘এ টেল অব টাইম’, তবে এখনো বইটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেইনি। বইটি মূলত আমার ‘অটোবায়োগ্রাফি’। একটি অংশে আছে বাংলাদেশের দুর্নীতি এবং তার সমাধান সম্পর্কে আমার ভাবনা। বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মঈন পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে নতুন একটি বই লেখার কথা জানিয়ে বলেন, লেখার কাজ অর্ধেকও শেষ হয়নি, কবে শেষ হবে নিশ্চিত বলতে পারবো না। উল্লেখ্য, অসুস্থ্যতার কারণে সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সস্ত্রিক বসবাস করছেন।