নিউইয়র্কে সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল মোমেন সংবর্ধিত
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ডঃ একে আব্দুল মোমেনকে নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বেলিজিনো পার্টি হলে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উক্ত সংবর্ধনা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ বশারত আলী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব ইফজাল আহমেদ চৌধুরী ও যুগ্ম সদস্য সচিব হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজী,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকা’র সাবেক সভাপতি ও ড. মোমেনের বড় ভাই শেলী এ মুবদী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার ট্রাষ্ট্রি সদস্য জহিরুল ইসলাম, ফার্মাসিস্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম এ জলিল ও তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, সহ সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ডের কমান্ডার ডা. এম এ বাতেন, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, দি অপটিমিস্ট-এর প্রধান সমন্বয়কারী রানা চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ- সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, কানেকটিকাট আওয়ামী লীগের সভাপতি জুনেদ এ খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফকু চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ছদরুন নূর ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা খসরুজ্জামান খসরু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন ডাউন টাউন ম্যানহাটান মসজিদের খতিব মওলানা কারী মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর প্রজেক্টটরে ড. মোমেনকে নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের অংশ বিশেষ ও কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, সংবর্ধনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ কফিল আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক রেজাউল করীম চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহসান হাবিব, মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শাহ মিজানুর রহমান, নাসির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবীর, এএফ মিসবাহউজ্জামান, কবি সোনিয়া কাদের, বাংলাদেশ সোসাইটি নিউইয়র্ক’র সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মনিকা রায়, ওসমানী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নজমুল ইসলাম চৌধুরী, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এম এইচ মতিন, নিউজার্সী আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এমাদ উদ্দিন, জাভেদ সিরাজ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া ও রহিমুজ্জামান সুমন, যুবলীগ নেতা শোয়েব আহমেদ, জর্জিয়া যুবলীগের সভাপতি নূরুল তালুকদার নাহিদ প্রমুখ।
সংবর্ধিত ডঃ এ. কে. আবদুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধির হিসেবে ৬ বছর কাজ করার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন এবং কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেই দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সরকারের অর্থমন্ত্রীর সহযোগিতায় সিলেটের উন্নয়নে কিছু কাজ করে চলেছি।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। এই বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হই বা না হই, সিলেটের জন্য কাজ করে যাবো। আমি সিলেটকে দৃষ্টি নন্দন সিলেট আর উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চাই। এজন্য দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, মানব সম্পদ কাজে লাগাতে হবে, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রবাস জীবন ছেড়ে দুই বছর ধরে আমি বাংলাদেশে বসবাস করছি। আমি ভালো আছি, শান্তিতে আছি, উই আর ভেরী হ্যাপি। আগামী দিনের পথ চলায় তিনি সকল প্রবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীসহ ড. মোমেনের বড় ভাই শেলী এ মুবদী, মেঝো ভাই এস এ মুইজ সুজন, ছোট ভাই এবিএম মুমিত ফুয়াদ ও কন্যাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।