পানামা পেপার্স সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ শরীফ অযোগ্য ঘোষিত হয়ে পদত্যাগের পরে তার দল পিএমএল-এন শহীদ খাকান আব্বাসীকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সোমবার ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্বাসীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি ডলারের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। ২০১৫ সালে লিকুইড ন্যাচরাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী আব্বাসী। অন্যান্য সন্দেহভাজনদের মধ্যে আছে পাকিস্তানে সাবেক জ্বালানি সচিব আবিদ সাঈদ, ইন্টার স্টেট গ্যাস সিস্টেমস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবিন সাউলুতসহ অনেকে।
নওয়াজ শরীফের পদত্যাগের পরে তার ভাই ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে মেয়াদের পরবর্তী ১০ মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করে পিএমএল-এন। শাহবাজ নওয়াজের আসনে উপনির্বাচনে জিতে পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে শহীদ খাকান আব্বাসীকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করে পিএমএল-এন। ন্যাশনাল পার্লামেন্টে পিএমএল-এন এর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে তারা নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর নথি অনুযায়ী এলএনজি আমদানি ও ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ পায় এলেনজি টার্মিনাল। পাকিস্তানের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেটরি অথরিটির সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করে এলেনজিকে কাজ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
২০১৫ সালের ২৯ জুলাই এই মামলা করা হলেও এখনো এটি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শহীদ সাত্তার। তারা অভিযোগ করেন, আব্বাসী ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজ দিয়েছেন যাতে আগামী ১৫ বছরে পাকিস্তানের ২০০ কোটি ডলার ক্ষতি হবে।  এই বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতাদের অভিযোগের জবাবে আব্বাসী বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সম্পদের অনিয়ম নিয়ে মামলা করতে চাইলে যে কেউ তা করতে পারেন। আমার সম্পদের বৃত্তান্ত পাকিস্তান গেজেটে প্রকাশিত। যারা আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন, তাঁদের প্রথমেই নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।’ ডন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn