পাকিস্তানে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সাকিব
মেহেরিনা কামাল মুন – পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলেও সাকিব আল হাসানের পাকিস্তানের মাটিতে খেলা হয় না অনেক বছর হলো। বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থা ভালো না, তবুও আবারও পাকিস্তানে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আশা করি আবার পাকিস্তানের পরিবেশ ভালো হবে, আবারো পাকিস্তানে খেলতে চাই।’ সর্বশেষ ২০০৮ সালে পাকিস্তানে খেলেছিলেন সাকিব। এরপরে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপরে সন্ত্রাসী হামলার পরে আর কোন দেশ সেখানে খেলতে যায়নি। সর্ব শেষ ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল পাকিস্তানে।
পিএসএলের প্রথম আসরের মতো, চলতি দ্বিতীয় আসরও হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, যা ইছুই হোক, আগামী পাঁচ মার্চ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
যদি সাকিবের দল পেশোয়ার জালমি ফাইনালে খেলতেও পারে, তবুও দলের সাথে থাকবেন না সাকিব। কারণ এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন। তাই পিএসএল খেলা বাংলাদেশি সাকিব ও একই দলে খেলা তামিম ইকবাল এবং কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরব-আমিরাত থেকেই ২৮ ফেব্রুয়ারি যোগ দেবেন বাংলাদেশ দলের সাথে। সাত মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু হবে।
পাকিস্তানে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সবশেষ ২০০৮ সালে পাকিস্তানের মাটিতে খেলেছি। এটা আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। ওদের মাঠ, দর্শক, পরিবেশ, ভক্ত আর আবহাওয়া সবকিছুই দারুণ। যদি সবকিছু ঠিক হয়ে যায়,আমি সত্যিই আবারও পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যেতে চাই।’
যদিও সেবার ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ, তবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। এক ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচও হয়েছিলেন। বর্তমানে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা এই ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মনে করেন, আরব আমিরাতে না হয়ে পাকিস্তানেই পিএসএল হওয়া উচিৎ ছিল।
সাকিব বলেন, ‘যদি পাকিস্তানের মাটিতে পিএসএল আয়োজন করা হতো, তাহলে আমিরাতের থেকেও বেশি জমতো। বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থা কিছুটা নাজুক কিন্তু আমি আশা করি এমনটা বেশিদিন থাকবে না। পাকিস্তানের পরিবেশ ভালো হবে আর সেখানে আরও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এবং সিরিজ আয়োজিত হবে।’ সাকিবের মতে, পিএসএলই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে সাহায্য করবে।