খালেদার জামিন আদেশ পিছিয়ে গেছে। নথি না আসায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি হবে না সে বিষয়ে সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট ।রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। আজ খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদাতের আদেশ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নথি না আসায় হাইকোর্ট সোমবার আদেশ দেয়ার কথা বলেন। ১৫ দিনের মধ্যে নথি পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের নজরে আনেন গত বৃহস্পতিবার। পরে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

কি কারণে পেছালো জামিন আদেশ

নথি না আসায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ পিছিয়ে আগামীকাল সোমবার পুনরায় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার (১১ মার্চ) এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার দিন ধার্য থাকলেও আদালতের কাছে নথি পাঠানোর ১৫ দিন সময় শেষ হয়নি- এ কারণ দেখিয়ে আদেশের দিন পেছানো হয়। রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈতবেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এছাড়াও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদেশের সময় জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, আদালতের নির্ধারিত ১৫ দিন সময় শেষ হলেও এখন পর্যন্ত নথি (বিচারিক আদালতের) আসেনি। কিন্তু জামিন দেওয়ার বিষয়ে আপনাদের ক্ষমতা রয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, ‘আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি আদেশ (নথি পাঠানোর) দিয়েছিলাম। আমাদের আদেশ তারা (বিচারিক আদালত) কবে পেয়েছিলেন? জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ওই একই দিনে (২২ ফেব্রুয়ারি) তারা নথি পাঠানোর আদেশ গ্রহণ করেছেন।’ আদালত তখন বলেন, ‘জয়নুল সাহেব, নোটিশে দেখা যাচ্ছে আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি নথি পাঠানোর আদেশ দিয়েছি। ওইদিন হয়তো আদেশ যায়নি। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, নথি আসার সময় আজ শেষ হচ্ছে। তাই নট টু ডে (আজ আদেশ নয়) করে রাখছি। আজ পর্যন্ত দেখি, নথি আসে কিনা।’

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আপনাদের (বিচারপতিদের) ক্ষমতা রয়েছে জামিন আদেশ দেওয়ার। আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করুন। আদালত তখন বলেন, আমরা একটু দেখি। দুপুর পর্যন্ত দেখি নথি আসে কিনা।’ এরপর আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশের দিন পিছিয়ে পুনরায় আগামীকাল দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়াকে জামিন বিষয়ে রবিবার (১১ মার্চ) দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টে মামলাটি কার্যতালিকার (কজলিস্ট) এক নম্বরে রাখা ছিল। এর আগে ৮ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ১১ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। ওই দিন হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন থেকে খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn