পৌরসভার প্যানেল মেয়রের বিরোদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ
পৌরসভার ৩ হাজার ভিজিএফ কার্ডধারীর ফেব্রুয়ারি মাসের বরাদ্দের বিপরীতে উত্তোলিত ৯০ মে. টন চাল ও ১৫ লাখ নগদ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ হয়েছে দাবি করে এই বিষয়ে প্রশাসনিক তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসকের নিকট তাঁরা এই আবেদন করেন। এর আগে গত ২৭ মে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবার জন্য নবনির্বাচিত পৌর মেয়র নাদের বখ্ত’এর কাছে চিঠি (স্মারক নম্বর ৪৫৩) দেওয়া হয়েছে। এদিকে পৌরসভার অন্য ৩ জন কমিশনারও সোমবার বলেছেন,‘তাঁদের এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের ভিজিএফ’র চাল ও নগদ টাকা বিতরণ হয়নি।’ জেলা প্রশাসকের কাছে রোববার দেওয়া ৭ পৌর কাউন্সিলরের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি পৌরসভার মেয়র আয়ুব বখ্ত জগলুল’এর অকাল মৃত্যুর কারণে ঐ মাস থেকেই পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন পৌর কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) হোসেন আহমদ রাসেল। কাউন্সিলররা লিখিত আবেদনে দাবি করেছেন হোসেন আহমদ রাসেল ভিজিএফ কার্ডধারীদের ৯০ মে.টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন। এই পুকুরচুরির বিষয়টি প্রশাসনিক তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন পৌর কাউন্সিলাররা।
এদিকে, সোমবার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আবাবিল নূর, চার নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লৌহ এবং সাত নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. শামছুজ্জামান স্বপনও বলেছেন, তাঁদের এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের চাল বিতরণ হয়নি।
এর আগে গত ২১ মে পৌরসভার ১২ কমিশনারের মধ্যে খোরশেদ আলম, আহমেদ নূর, সৈয়দা জাহানারা বেগম, ফজননূর, সৈয়দ ইয়াছিনুর রশিদ ও সুজাতা রানী রায় তাঁদের এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের ভিজিএফ’র চাল বিতরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন।
গত ১৩ মে পৌরসভা ভিজিএফ কমিটির সভায় ফেব্রুয়ারি মাসের চাল বিতরণ না করার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন একাধিক কাউন্সিলর। পৌর কাউন্সিলররা দাবি করেন উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বললেই এই অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল অবশ্য ইতিপূর্বে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছেন,‘ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ হাজার ভিজিএফ কার্ডের চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পরশ্রীকাতরতায় কয়েকজন কাউন্সিলর এসব মিথ্যা অপপ্রচার করছে। ফেব্রুয়ারি মাসের চাল-টাকা বিতরণের মাস্টাররোল রয়েছে এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই অবগত আছেন।’