প্রতিটি ঘরেঘরে এমন নীলাদ্রী রয়েছে
নিকিতা জান্নাত::
সংসার ধর্ম বড় কঠিন।বাবার ঘড়ে যখন ছিলাম,তখন বুঝিনি সংসার কী?প্রায় মা কে দেখতাম টেনশন করতে,হা-হুতাশ করতে।মাঝে মাঝে কাদতেঁ।সব গুলোই অযথা বলে উড়িয়ে দিতাম। আজ আমার সংসারের একটা বছর পেরুই নি,আমি যেন হাপিঁয়ে ওঠেছি।বাকী তো সারাটি জীবন ই পড়ে রইলো। তন্ময় পুরোটা পাল্টে গেছে,বিয়ের আগে তো কতো বলতো কখনো বদলে যাবে না।আরো বেশি ভালোবাসবে। প্রতিদিনই দশ টাকার ফোচকা নিয়ে আসতো,আর এখন খবর ই রাখে না,আমি খেয়েছি কী না। অফিস থেকে এসে সে খুব টায়ার্ড,যেন কথা বলার ই শক্তি নেই। অন্তত শুক্র বারে আমায় নিয়ে ঘুড়তে পারতো।এখন আর আমাদের ঘুরাঘুরি হয় না। সকালে ওঠে আমি ব্যস্ত ওর নাস্তা তৈরী করতে।সে ঘুম থেকে জেগে নাস্তা করে অফিস চলে যায়।যাওয়ার সময় কপালে একটা চুমু দিয়ে যদি বলতো,এত কষ্ট করে নাস্তা বানিয়েছো……তাতেই আমার সারাটি দিন সাচ্ছন্দ্যে কেটে যেতো।আচ্ছা আমি কী ওর কাছে কীছুই ডিজার্ভ করিনা? প্রতিদিন না হওক হঠাৎ যদি আমার প্রিয় দশ টাকার ফুচকা নিয়ে বাসায় ফিরতো কিংবা একটা লাল গোলাপ।এর সুখেই কেটে যেত হাজার বছর।আমি তো বেশি কিছু চাই না,শুধু একটু ভালোবাসা।
নীলাদ্রী অঝোরে কাদছেঁ।এত অবহেলা ওর সহ্য হয়না। সে তো বুঝে তন্ময় এত পরিশ্রম করছে ওদের সুখের জন্য।কিন্তু এই সুখ কিনতে গিয়ে তো নীলাদ্রী কে হারিয়ে ফেলছে। এক সময় নীলাদ্রীরা ও যান্ত্রিক জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে শিখে যায়।যেখানে এক ছাদের নিচে বসবাস করে ও দুই প্রাণী দুই প্রান্তে থাকে। অবশেষে তন্ময়রা অধিক পরিশ্রমে ঐশ্বর্য গড়ে তুলতে পারে কিন্তু শান্তি পায়না।আগের মতো চাইলে ও সেই নীলাদ্রীকে খুজেঁ পাওয়া যায় না।পাওয়া যায়না হারানো ভালোবাসা। প্রতিটি ঘড়ে ঘড়ে নীলাদ্রী রয়েছে,তারা শুধু একটু ভালোবাসা পেলেই তুষ্ট থাকে।মেয়ের জাতটাই এরকম।কখনো অল্প অবহেলা সহ্য করতে পারেনা,আবার কখনো তাদের কে অল্প ভালোবাসা দিয়ে সারাজীবন পাশে রাখা যায়।ভালো থাকুক পৃথীবির বুকে ভালোবাসার নীলাদ্রীগুলা।