স্বাস্থ্যসেবা মানুষের কাছে আরো সহজতর করতে প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। উপজেলায় ডাক্তারদের আবাসিক সমস্যা সমাধান করা হবে। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেটের অর্থ দ্বারা সংগৃহীত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সংরক্ষণ ও নষ্ট অ্যাম্বুলেন্স মেরামতে আপদকালীন বাজেট রাখা উচিত। আর্থিক যে নিয়ম শৃঙ্খলা সেটা মনে চলতে হবে। সেখানে আমরা হাত দিতে পারি না। কিন্তু তার বাইরে গিয়ে কীভাবে ফান্ড রাখা যায় যাতে ছোটখাট মেরামত কাজ করা যায়। যাতে ছোট অংকের অর্থ থাকবে। আর বড় অংক হলে তো তা সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হবে। একটা হাসপাতালে যদি জানালা ভেঙে যায় তা মেরামতের অর্থ পেতে পেতে বাকি সব নষ্ট হয়ে যাবে। তাতো হতে পারে না। এজন্য একটা ফান্ড তৈরি করা উচিত। স্বাস্থ্য খাতের অনেক কাজ প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট প্রথমবার আমরা সরকারে এসে করে গেলাম। তারপর সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। নিমতলীতে যখন আগুন লাগলো, এরপর দ্রুত লোকবল দিয়ে সেটা চালু করা হলো। সেখানে অনেক কিছু ছিল না। তখন ডোনার ম্যানেজ করে টেন্ডার না করে অনেক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। যার সুফল আজ সাধারণ মানুষ ভোগ করছে। বার্ন ইনস্টিটিউট হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটা আমাদের নীতি। সংবিধানে ও জাতির পিতার নির্দেশ রয়েছে। কাজেই আজ যে অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হচ্ছে, আমি আশা করি তা মানুষের সেবায় কাজে লাগবে। দ্বীপ ও হাওর অঞ্চলে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাওর-বাওর ও দ্বীপ অঞ্চলে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে। নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দেশীয় উদ্যোক্তারাই তৈরি করতে পারে। এটা কঠিন কোন কাজ নয়। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু মৃত্যুহার কমানো, পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু খাদ্য অনিয়মের কারণে ডায়বেটিসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে। তাই এখানে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn