প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি ইমরান সরকারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারকে শাহবাগ ও ঢাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিলে প্রধামন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা দায়েরের ঘোষণা দেন। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের জামাতা ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দেয়া বিভিন্ন কটূক্তিমূলক স্লোগান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সেদিনের ওই মিছিলে স্লোগান দেয়া গণজাগরণমঞ্চের কর্মী সনাতন উল্লাসকে ‘যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই পেটানো হবে’- এমন ঘোষণাও দিয়েছেন সংগঠনটির কেউ কেউ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা ইমরান এইচ সরকার ও সনাতন উল্লাসকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। তাদেরকে দেখা মাত্র প্রতিরোধ করা হবে।’ এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ যুগান্তরকে বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে যারাই কটূক্তি করবে তাদের কোনো ছাড় নয়। সেদিনের মিছিলে যে স্লোগান দেয়া হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইতিমধ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের অনেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন এবং থানায় মামলা করতে গেছেন। মামলার বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী যুগান্তরকে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, প্রধানমন্ত্রীর মানহানি, আদালত অবমাননা ও তথ্য-প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী সুস্পষ্ট অভিযোগ ও তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ইমরান এইচ সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হবে। ইতিমধ্যে মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কে কী বললো- তা নিয়ে বিচলতি নই: ইমরান এদিকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও প্রতিরোধের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার যুগান্তরকে বলেন, ‘এটা এক ধরনের প্রকাশ্য হুমকি। এর আগেও বিভিন্ন সময় সত্য বলায় আমাদের হুমকি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা। যখন কোনো দলীয় ক্যাডাররা একজন মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে এ ধরনের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে- তখন এ রাষ্টের গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের অবস্থা কি- তা সহজেই বোঝা যায়। সরকারের দায়িত্ব তার এ ক্যাডার বাহিনীকে সামাল দেয়া। কারণ এতে খুব স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে পারছে না। স্বাধীন মত প্রকাশকে ভয় পাচ্ছে। সেকারণেই তার ক্যাডাররা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে কে কী বললো- তা নিয়ে বিচলতি নই।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। দেশের বিভিন্ন সংকটে গণজাগরণ মঞ্চ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে রাজপথে থেকেছে। এতে দল-মত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ অংশ নিয়েছে। ভাস্কর্য অপসারণ বিরোধী আন্দোলনেও তাই হয়েছে। সেখানে সবাই, সবার মতো করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আমরা সবসময় বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি। প্রতিবাদের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত মশাল মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক স্লোগান দেয় ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চ। এই স্লোগানের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা ইমরান এইচ সরকার ও সনাতন উল্লাসকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। তাদেরকে দেখা মাত্র প্রতিরোধ করা হবে।’ এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ যুগান্তরকে বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে যারাই কটূক্তি করবে তাদের কোনো ছাড় নয়। সেদিনের মিছিলে যে স্লোগান দেয়া হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইতিমধ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের অনেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন এবং থানায় মামলা করতে গেছেন। মামলার বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী যুগান্তরকে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, প্রধানমন্ত্রীর মানহানি, আদালত অবমাননা ও তথ্য-প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী সুস্পষ্ট অভিযোগ ও তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ইমরান এইচ সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হবে। ইতিমধ্যে মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কে কী বললো- তা নিয়ে বিচলতি নই: ইমরান এদিকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও প্রতিরোধের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার যুগান্তরকে বলেন, ‘এটা এক ধরনের প্রকাশ্য হুমকি। এর আগেও বিভিন্ন সময় সত্য বলায় আমাদের হুমকি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা। যখন কোনো দলীয় ক্যাডাররা একজন মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে এ ধরনের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে- তখন এ রাষ্টের গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের অবস্থা কি- তা সহজেই বোঝা যায়। সরকারের দায়িত্ব তার এ ক্যাডার বাহিনীকে সামাল দেয়া। কারণ এতে খুব স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে পারছে না। স্বাধীন মত প্রকাশকে ভয় পাচ্ছে। সেকারণেই তার ক্যাডাররা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে কে কী বললো- তা নিয়ে বিচলতি নই।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। দেশের বিভিন্ন সংকটে গণজাগরণ মঞ্চ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে রাজপথে থেকেছে। এতে দল-মত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ অংশ নিয়েছে। ভাস্কর্য অপসারণ বিরোধী আন্দোলনেও তাই হয়েছে। সেখানে সবাই, সবার মতো করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আমরা সবসময় বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি। প্রতিবাদের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত মশাল মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক স্লোগান দেয় ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চ। এই স্লোগানের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।