প্রধানমন্ত্রী যা খান, যা পরেন তা সবই দেশীয়: পরিকল্পনা মন্ত্রী
শহীদনুর আহমেদ :: পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেনে, বাঙালির সম্মান এখন বাঙালির হাতে। বাঙালির পতাকা এখন বাঙালির হাতে। এখানে কোনো প্রতিযোগী নেই, প্রয়োজন পরিশ্রম। আমাদের উদ্যোগে বাংলাদেশ একটি আধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন অসাম্প্রাদায়িক দেশে রূপান্তর হয়েছে। এই বাংলাদেশকে ধরে রাখুন। বাংলাদেশ এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। দেশের ভেতর থেকে ষড়যন্ত্র চলছে। এই উন্নয়নকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা আমি মান্নানানের অবদান নয়। সব উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন গ্রামের উন্নয়ন করতে। পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্যে কাজ করতে। নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে হাওরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে। ইউনেস্কো পার্টনারশীপ প্রোগ্রাম ২০১৮-২০১৯ এর নকশী কাঁথা প্রশিক্ষণ ও বিপনন বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলার গ্রামে গঞ্জে নকশা শিল্পের কদর ছিলো। মা চাচিরা নকশার মাধ্যমে কাঁথা বুনতেন। যা এখন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে বাঙালি নকশী কাতার বাজার রয়েছে। বিদেশের বাজার ধরে রাখতে হলে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। শখে নয় জীবিকার তাগিদে শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। দেশজ পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা খান, যা পরেন তা সবই দেশীয়। সচিবালয় থেকে মন্ত্রনালয় সব স্থানে দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। কাজেই দেশীয় সংস্কৃতি লালন ও পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। তাই হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের নারীদের অবসর সময়ে নকশী কাঁথা ভুননের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তিনি। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের সকল ধরনের সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী এম এ মন্নান। শুক্রবার বিকালে শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক দেওয়ান গিয়াস ও সাইকী ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলীয় হুইফ সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মীসবাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, গেস্ট অব অনারের বক্তব্য রাখেন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ইউনোস্কো গুড উইল অ্যাম্বাসেডর বিবি রাসেল, বক্তব্য রাখেন বিএনসিইউ প্রতিনিধি তাজ উদ্দিন । স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইরার নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গভেষক মোহাম্মদ সুবাস উদ্দিন। এসময় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলা পরিষদের সদস্য ফৌজি আরা শাম্মী, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, পৌর কাউন্সিলার শেলি চৌহান ময়না, সাংবাদিক মাহতাব উদ্দিন তালুকদার, সেলিম আহমদ তালুকদার, এমরানুল হক চৌধুরী, একে মিলন, নুপুর চৌধুরী, নারী উদ্যোক্তা মাসুমা আক্তার, জ্যোৎস্না আক্তার, জাহানারা বেগম প্রমুখ।