প্রধান বিচারপতি ইস্যুতে দলের নেতাদের কথা বলতে নিষেধ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ইস্যুটি‍ বিচার বিভাগের। তারাই দেখছে। তাই রাজনৈতিক বক্তব‍্য না দেওয়াই ভালো।’ শনিবার (১৪ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। সন্ধ‍্যায় গণভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাবনা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সূত্র জানায়, গণভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সাবেক আমলাদের নির্বাচনে অংশ নিতে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে তিন বছরের যে বিধান রয়েছে, তা শিথিল করতে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই বিধান শিথিলের প্রস্তাব তুলে উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস‍্য বক্তব‍্য রাখেন। এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমলাদের ‌ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য এখন যে বিধান আছে, সেটা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। আরপিও’র এই ধারার সংশোধনী আনতে আমাদের প্রস্তাব আনা ঠিক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি  সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে রাজনীতি শুরু করে। তাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী থাকা অবস্থায় সরকারের তাবেদারি করে। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সেই জায়গা থেকে ফিরিয়ে এনেছি।’
বৈঠক সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের সদস‍্য মুকুল বোস আওয়ামী লীগ নেতাদের চীন সফরে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি করবে কিনা উল্লেখ করলে, এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী।’ শেখ হাসিনা দলের নেতা ও সংসদ সদস‍্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবাইকে বেশি বেশি মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। উন্নয়নের কথা, সুখের কথা মানুষের বেশি মনে থাকে না। যতই উন্নয়ন হোক, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না বাড়ালে ভোট বাড়বে না।’
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn