প্রশাসনে নারীর দাপট
সচিব ১৩, অতিরিক্ত সচিব ৩৮৬, যুগ্ম সচিব ১০৫, উপসচিব ২৭০, ডিসি ৯ এবং ইউএনও ১৭২ জন পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থায় দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন নারীরা। এটা পুরনো খবর। দেশের সর্ববৃহৎ দুই দল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাদের হাতেই রাজনীতির জীয়নকাঠি। এ ছাড়াও সংসদের স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সবাই নারী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নারীদের হাতে থাকায় দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই। শুধু রাজনীতি নয়, বর্তমানে প্রশাসনেও নারীদের দাপট বাড়ছে। বর্তমান সরকারের আমলেই প্রশাসনে সচিব পদমর্যাদায় ৭৮ জন নারী কর্মকর্তা গুরুত্বপূূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ উন্নত বিশ্বের দেশ আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে নারীদের এই সুযোগ-সাফল্য কল্পনাই করা যায় না।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি রোডহ্যাম ক্লিনটনের মতো প্রার্থীকে শুধু নারী হওয়ায় ভোটদানে বিরত থাকে লাখ লাখ ভোটার।যাদের কর্মকান্ড ঘরকন্যার বাইরে কল্পনাই করা যেত না; সেই নারীরা সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, র্যাবে চাকরি করছেন। বিমান পরিচালনা এবং রেলগাড়িও চালাচ্ছেন পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। শুধু এই সব কঠিন কাজই নয়, প্রশাসনে নারীরা মর্যাদার সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সবাই নারী।
বিসিএস ক্যাডারে পাস করেই তারা চাকরিতে প্রবেশ করেন। অনুসন্ধান করে জানা যায়, বর্তমানে প্রশাসনে সচিব পদে ১৩ জন, অতিরিক্ত সচিব ৩৮৬ জন, যুগ্ম সচিব ১০৫ জন, উপসচিব ২৭০ জন, ডিসি ৯ জন এবং ইউএনও ১৭২ জন নারী। এছাড়া সিনিয়র সহকারী সচিব ৩৮৯ জন এবং সহকারী সচিব ৪৬৩ জন প্রশাসনে যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছেন। কিশোরগঞ্জ জেলার পুরো প্রশাসনযন্ত্রই এখন চালাচ্ছেন নারীরা। এ জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে আটটির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্বে আছেন নারী। আটটি উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদেও নারীরাই কাজ করছেন।
প্রশাসনে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দফায় দফায় সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) বৈঠকও চলছে। সমপ্রতি একই বিষয়ে আরো কয়েকটি বৈঠক করেছে প্রশাসনে পদোন্নতির সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত এই বোর্ড। এসব বৈঠকে পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে বোর্ডের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে একমত পোষণ করেছেন। এবারের সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) বৈঠকে নারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতির তালিকায় বেশি। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আরো কয়েকটি বৈঠক করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। বর্তমানে প্রশাসনে বিভিন্ন কোটা মিলে সিনিয়র সচিব ও সচিব পদে কর্মরত আছেন ৭৯ জন, এর মধ্যে নিয়মিত সিনিয়র সচিব ও সচিব রয়েছেন ৬৪ জনের মধ্যে নারী সচিব ১৩ জন। অতিরিক্ত সচিব নারী ৩৮৬ জন এবং পুরুষ রয়েছে ৩৮৬ জন, যুগ্মসচিব নারী ১০৫ জন ও পরুষ ৭০০ জন, উপ-সচিব নারী ২৭০ জন এবং ১২৯৩ জন, ডিসি ৯ জন এবং ইউএনও ১৭২ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে প্রশাসনে পুরুষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম করে থাকে সে তুলনায় নারীরা দুর্নীতি কম করে। সে কারণে নারীদের সংখ্যা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বাড়ানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশকে এখন পৃথিবীতে উদাহরণ হিসেবেই দেখা হয়। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার- তিনজনই নারী। কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক থেকে নয়, শিক্ষা, প্রশাসন, চাকরি- সব ক্ষেত্রেই নারীর অগ্রগতির প্রশংসা করছে সারা বিশ্ব।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষ ও শক্তিশালী প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে নতুনরূপে সাজানোর কাজ শুরু করেছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একাধিক মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারের আস্থাভাজন কয়েকজন কর্মকর্তাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে বসানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। উপ-সচিব থেকে যুগ্মসচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া মাঠ প্রশাসনের ডিসি ও ইউএনও পদেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিসি ফিটলিস্টের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদকাল রয়েছে দেড় বছর। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ রকম উত্তরণকালে একদিকে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি রাজপথ গরম করে, অন্যদিকে প্রশাসনের ভেতর থেকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ধরনের চাপ ও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা হয়। এসব বিষয়ে সরকার সচেতন। প্রশাসনের কয়েকটি পর্যায়ে রদবদলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রশাাসনে ১৩ নারী সচিব : বর্তমান সরকারের আমলে প্রশাসনে সচিব পদমর্যাদায় কাজ করছেন মোট ৭৮ জন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে সাতজন নারী সচিব। দুইজন ভারপ্রাপ্ত সচিব। এই প্রশাসনে নারী সচিব ১৩ জন। এই ১৩ নারী সচিবের একজন সুরাইয়া বেগম। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সুরাইয়া বেগম সরকারের একজন সিনিয়র সচিব। সচিবের পদমর্যাদায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মুশফেকা ইকফাৎ, তিনি সরকারের সিনিয়র সচিব। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি। এর আগের সচিব বেগম সামছুন নাহার অবসরে গেছেন। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব আকতারী মমতাজ। সচিবের পদমর্যাদায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ। সচিবের পদমর্যাদায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক কানিজ ফাতেমা। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরুহা সুলতানা, দু’টি বিভাগে ভারপ্রাপ্ত সচিবের পদমর্যাদায় সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সরকারি কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) শিরিন আকতার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে হোসনে আরা বেগমকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এছাড়া অতিরিক্ত সচিব থেকে ভারপ্রাপ্ত সচিব পদমর্যাদায় পরিকল্পনা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেগম শামীমা নার্গিস। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম আফরোজা খান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ইনকিলাবকে বলেন, কোনো বিশেষ সুবিধা নয়, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবদান রাখতে পারাকে গৌরব বোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।
৯ জেলায় নারী ডিসি : বাংলাদেশের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে রাজিয়া বেগমকে রাজবাড়ীতে নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি সরকার। এরপর বিভিন্ন সময়ে নারীদের জেলা প্রশাসক হিসেবে শুভ সূচনা সৃষ্টি হয় প্রশাসনে। পরে বর্তমান সরকার জেলা প্রশাসক হিসেবে একদিনেই নিয়োগ পেলেন চার নারী। ৬৪ জেলায় সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে এখন নারীর সংখ্যা ৯। জেলা প্রশাসক হিসেবে একসঙ্গে এত নারী কখনো কাজ করেননি। রক্ষণশীল বাঙালি সমাজে নারীদের বাইরে কাজ করতেই বাধা দেয়া হতো তিন দশক আগেও। কিন্তু কোনো কোনো পরিবার আবার উৎসাহ দিয়েছে, তাদের সাফল্য দেখে আবার অনুপ্রাণিত হয়েছে অন্যরা। দিনে দিনে পড়ালেখা আর চাকরিতেও বাড়ছে নারীর সংখ্যা। ২০০১ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন রাজিয়া বেগম রাজবাড়ীতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে নারী জেলা প্রশাসক হয়েছেন। নারী জেলা প্রশাসকরা হলেন- মানিকগঞ্জে রাশিদা ফেরদৌস, হবিগঞ্জে সাবিনা আলম, পাবনায় রেখা রানি বালো, চুয়াডাঙ্গায় সায়মা ইউনুস, রাজবাড়ীতে জিনাত আরা, ফরিদপুরে বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া, সিরাজগঞ্জে কামরুন নাহার সিদ্দিকা, মুন্সিগঞ্জে বেগম সায়লা ফারজানা এবং নাটোরে বেগম শাহিনা খাতুন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, প্রশাসনের বড় জায়গায় অনেক নারী সচিব অতিরিক্ত সচিব এবং ৯ জেলায় ডিসি নারী। এটা অবশ্যই নারীর ক্ষমতায়নের দিনে থেকে গর্বের বিষয়। এটা বাংলাদেশের নারীর অগ্রগতির একটা ইতিবাচক লক্ষণ। তবে নারীরা এখনো নারীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সাম্য ও সমঅধিকারের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। উত্তরাধিকারেও নারী সাম্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। নারী নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এসব দিকে রাষ্ট্র ও সমাজের অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, প্রশাসনে নারী অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। নারীদের আরো এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে নারীর সংখ্যাটা আরো বাড়াতে হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ডিসি হওয়ার আগে আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে কাজ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবেও কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মেয়েদের স্বপ্ন দেখাতে চাই। আমি যখন ফরিদপুরের রাস্তা দিয়ে হাঁটব তখন নারীরা আমাকে দেখে অনুপ্রেরণা পাবে। তারাও স্বপ্ন বুনবে। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের স্কুলে একবার ডিসি এসেছিলেন এক অনুষ্ঠানে। তখন থেকেই আমার স্বপ্ন, আমিও একদিন ডিসি হবো। নাটোরে ডিসি শাহিনা খাতুন বলেন, আমি যখন ডিসি হিসেবে কাজ করব তখন কেবল নারী নয়, সবার সুবিধাই দেখার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, নির্যাতিত নারী যেন ন্যায়বিচার পায়, প্রতিবন্ধী যেন সহযোগিতা পায় সেদিকে দৃষ্টি থাকবে। নিজের পরিচয়ে বড় হতে হবে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলবে হবে।
১৭২টি উপজেলায় নারী ইউএনও : সারাদেশে ১৭২টি উপজেলায় ইউএনও পদে ১৭২ জন নারী কাজ করছে। তার মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে আটটির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্বে আছেন নারী। এছাড়া আটটি উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদেও নারীর দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আট নারী হলেন- করিমগঞ্জে মাহমুদা, তাড়াইলে সুলতানা আক্তার, মিঠামইনে তাসলিমা আহমেদ পলি, ভৈরবে দিলরুবা আহমেদ, কুলিয়ারচরে ড. উর্মি বিনতে সালাম, পাকুন্দিয়ায় অন্নপূর্ণা দেবনাথ, কটিয়াদীতে ইসরাত জাহান কেয়া এবং বাজিতপুরে সোহানা নাসরিন। প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদের নিজের এলাকা মিঠামইন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসলিমা আহমেদ পলি। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি এই পদে যোগ দেন। যোগদানের পরপরই হাওরে আগাম বন্যায় ফসলহানির ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতি তিনি সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করেন। সাহসিকতার সঙ্গে সামাল দিচ্ছেন প্রেসিডেন্টসহ ভিভিআইপিদের সফরের নানা কর্মসূচিও। সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিল্লুর রহমানের নির্বাচনী এলাকার একটি উপজেলা কুলিয়ারচর। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. উর্মি বিনতে সালাম।