ফেনীতে বাস খাদে পড়ে ৬ জন নিহত
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বেকের বাজার নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফেনী-মাইজদী সড়কে বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। ওসি জানান, সাড়ে ৭টার দিকে লক্ষ্মীপুর থেকে চট্টগ্রামগামী শাহী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ফেনীতে ট্রাকের সঙ্গে পিকনিক বাসের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছিল। তাদের স্থানীয় ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে প্রায় ১০ জন গুরুতর আহত বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিদের বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদীতে। ভোরে নোয়াখালী জেলা সদরের মাইজদী থেকে স্থানীয় ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সদস্যরা একটি বাসে করে পিকনিক করতে রাঙামাটি যাচ্ছিলেন। বাসটি ভোর পাঁচটার দিকে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার তুলাতলি বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাসটি ছিটকে সড়কের বাইরে উল্টে পড়ে। এতে নারী, শিশুসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মনোয়ারা বেগম (৩০), বিকাশ (৪০), শাহজাদা (৩১), কাউছারা বেগম (২৫), মো. জাহিদ (১৩), লক্ষ্মীরাণী সাহা (৩০), পলি বেগম (১৯), মো. নাহিদ (৪), মো. আলী (৪ মাস), মো. হাসান (২৩), নাজমা বেগম (১৮), শাহ আলম (৪০), মো. নাজিম উদ্দিনের (৩০) নাম জানা গেছে। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন পিকনিকের বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।