মিন্টু হোসেন-
বাংলাদেশি জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট যমজ মানিক ও রতনের বিশেষ স্টিকার অনুমোদন করেছে ফেসবুক। তাঁদের তৈরি দ্রগো চরিত্রটির ওপর বিশেষ স্টিকার সেট (২০টি) এখন ফেসবুকের স্টিকার স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুক এই প্রথম বাংলাদেশি কোনো কার্টুনিস্টের স্টিকার অনুমোদন দিল। স্টিকার অনুমোদন প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে মানিক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে দ্রগো চরিত্রটি নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় ওই চরিত্রটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। গত বছরে ফেসবুকের স্টিকার বিভাগের কাছ থেকে বিশেষ মেইল পান দুই ভাই। তাঁদের দ্রগো চরিত্রটির প্রশংসা করে পুরো এক সেট স্টিকার তৈরির আগ্রহের কথা জানতে চাওয়া হয়। ফেসবুক ওই দ্রগো চরিত্রটির প্রতি দারুণ আগ্রহ দেখায় এবং প্রশংসা করে। মানিক-রতন তাঁদের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গত বছর ফেসবুকের স্টিকার বিভাগ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি ই-মেইল এসে হাজির হয়। যেখানে লেখা ছিল, “আমি তোমাদের দ্রগো চরিত্রটার ভীষণ প্রেমে পড়ে গেছি। আর ভাবছিলাম, এই চরিত্রটিকে নিয়ে তোমরা একটি স্টিকার প্যাক বানিয়ে দিতে পারবে কি না?” তখন আমাদের বিশ্বাসই হচ্ছিল না। সত্যিই কি এই মেইলটা (ফেসবুক থেকে) কেউ আমাদের করেছে! এখন তো এটা সত্যিই হয়ে উঠল। দীর্ঘ উন্নয়নপ্রক্রিয়া শেষে ফেসবুক অবশেষে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রগো স্টিকার উন্মুক্ত করল বিশ্বজুড়ে তাদের শতকোটি ব্যবহারকারীর কাছে।’
ফেসবুক ব্যবহারকারী এখন দ্রগো স্টিকার ব্যবহার করে তাঁদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবেন। মানিক বলেন, ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট করার সময় এ স্টিকার ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া ফেসবুকের বিভিন্ন মন্তব্যে বা বিভিন্ন পোস্টে এ চরিত্র ব্যবহার করে অনুভূতি প্রকাশ করা যাবে। এখন অনেকেই অনুভূতি প্রকাশের জন্য লেখার পরিবর্তে অ্যানিমেটেড চরিত্র, স্টিকার প্রভৃতি ব্যবহার করেন। ফেসবুকের মেসেঞ্জার স্টোরে নানা রকম স্টিকার রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশি কোনো শিল্পীর তৈরি স্টিকার ছিল না। এ স্টিকার অনুমোদন পাওয়ায় বাংলাদেশি কার্টুনিস্টের স্টিকারের কথা সারা বিশ্ব জানবে। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে এই সুখবর পাওয়া গেল ফেসবুকের কাছ থেকে। ২০১৪ সাল থেকে ফেসবুক মেসেঞ্জারের পাশাপাশি মন্তব্যেও স্টিকারের মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশের সুবিধা চালু হয়। ফেসবুকের টাইমলাইন পোস্ট, গ্রুপ পোস্ট এবং ইভেন্ট পোস্টেও স্টিকারের মাধ্যমে মন্তব্য করা যায়। দ্রগো স্টিকার দেখতে পাবেন http://bit.ly/DrogoStickers লিংকে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২৪৭ বার