বজ্রপাতের কারণে ধান কাটতে ভয় পান হাওরের কৃষক
হুমায়ূন রশিদ চৌধূরী ও মো. বুরহান উদ্দিন –বজ্রপাত আর টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন সিলেট অঞ্চলের কৃষকরা। একদিকে ঘন ঘন বজ্রপাত অন্যদিকে জলাবদ্ধতার দরুন কৃষকরা ক্ষেতে যেতে পারছেন না। সোমবার সিলেট অঞ্চলে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত কেবল হাওরপ্রধান সুনামগঞ্জেই ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট অঞ্চলে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বজ্রপাতে মৃত্যু কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে সিলেটে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা মানববন্ধন পালন করে সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। মানববন্ধনে বক্তারা অতিসত্বর বজ্রনিরোধক দণ্ড অথবা টাওয়ার নির্মাণ, গভীর হাওরে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, হাওরে প্রচুর পরিমাণে তাল গাছ রোপণ, বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ার কারণ ও প্রতিকারের বিষয়ে গবেষণা করা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের পরিমাণ ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ, সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড সিকন্দর আলী, সাংবাদিক আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এর সিলেট জেলার সভাপতি আব্দুল করিম কীম, ময়মনসিংহ সমিতি- সিলেটের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল প্রমুখ। ধান কাটার শ্রমিকের অভাবসহ নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন কৃষক। রোদের অভাবে ধান শুকাতে পারছেন না। অনেক স্থানে ধানের রঙ ও গুণগত মান নষ্ট হওয়ার ভয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন না। কৃষকরা জানান, গত ৩০ এপ্রিল থেকে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ধান গোলাজাতকরণও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জমির পাশের সড়ক ও হাওর রক্ষাবাঁধ কাদাজলে ভরে গেছে। সেখানে ধান শুকানো দূরের কথা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রোদের অভাবে স্তূপীকৃত ধানে চারা গজিয়েছে। তবে সব ধান এক জায়গায় স্তূপীকৃত করে না রেখে, খোলামেলা পরিবেশে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, ‘সুনামগঞ্জে আবারো ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে হাওর এলাকার নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাবে, তবে বন্যা হবে না।