আমাদের দেয়া ইশতেহারে’র ওপর ভর করে দেশ আজ এখানে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আজকের যে পরিবর্তন তার পেছনে রয়েছে একটি ইশতেহার, ২০০৮ সালে আমরা দিয়েছিলাম। সেটি ছিল যুগান্তকারী। সেই ইশতেহারের ওপর ভর করে বাংলাদেশ আজ এখানে। আগামীতে আরও অনেক দূর যাবে।’ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘১৭তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ঢাকা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৬ বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়ে ওই ইশতেহার তৈরি করেছিলাম। ইশতেহার প্রকাশের পরে আমাদের আর পিছিয়ে থাকতে হয়নি। আজকের এই অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডের আয়োজনও সেই ইশতেহার তৈরির সুফল।’ তিনি অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান আমরা বার বার আয়োজন করতে চাই।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সফটওয়্যার রফতানি ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে এখন ৮০০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে তা ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা রাখি। ২০২১ সাল নাগাদ তা ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। এর সবই সম্ভব হয়েছে গতিশীল নেতৃত্বের কারণে।’ অ্যাপিকটাভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যপিকটার (এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স) চেয়ারম্যান দিলীপা ডি সিলভা, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, অ্যাসোসিওর সাবেক চেয়ারম্যান ও অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডের প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০১৫ সালে অ্যাপিকটার সদস্যপদ অর্জন করে এবং ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো অংশ নেই। সেবার বাংলাদেশ বড় বড় দেশকে পেছনে ফেলে ২০১৭ সালের আয়োজক দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান তিন বার আবেদন করেও অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের অনুমোদন আদায় করতে পারেনি। আমাদের সফলতা এখানেই।’ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আইসিটি অস্কার হিসেবে খ্যাত এই অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান এবারই প্রথম বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো। আইসিটি বিভাগের আইসিটি অধিদফতর ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) যৌথ উদ্যোগে গত ৭ ডিসেম্বর আয়োজন শুরু হয়। এতে সদস্যভুক্ত ১৫টি দেশের ৪ শতাধিক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, প্রযুক্তিপ্রেমী, বক্তা, প্রতিযোগীরা অংশ নেন। আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ৬০ জনের বেশি বক্তা, বিচারক ও অংশগ্রহণকারী এতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ১৭টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আয়োজনের পর্দা নামলো। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই দারুসসালাম, চীন, চীনা তাইপে, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম অংশ নেয়।