বাংলাদেশের বাইরে আরেক ‘বাংলাদেশ’
বাংলাদেশের বাইরে আরেকটি ‘বাংলাদেশ’ আছে। আর সেই বাংলাদেশের লোকজনও ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে পরিচিত। অবিশ্বাস্য শোনালেও ঘটনাটি সত্যি। দ্বিতীয় এই বাংলাদেশের অবস্থান আর্মেনিয়াতে। দেশটির রাজধানী ইয়েরেভানের একটি শহরতলী এটি। জায়গাটির নাম কেন বাংলাদেশ হলো তা নিয়ে নানারকম মত আছে। ইয়েরেভানের মধ্যে অন্যতম জনবহুল এবং জনপ্রিয় এলাকা এই বাংলাদেশ। এরা ‘বাংলাদেশি’ নামে পরিচিত হলেও আসলে এরা আর্মেনীয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানকার মানুষ জানে যে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ আছে এবং তারাও ‘বাংলাদেশি’। তবুও নিজেদের ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে পরিচয় দিতে তারা গর্ববোধ করে। এদের নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য আছে। এখানে আছে বড় বড় দোকানপাট, কারখানা, অফিস এবং পার্ক। এখানকার মানুষ খুব অতিথিপরায়ন, দয়ালু, কর্মঠ এবং সত্।
এই ছোট্ট বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এদের ৯৯ শতাংশই আর্মেনীয়। এখানে যারা বাস করে তারা এই এলাকা ছাড়তে চায় না। কারণ এলাকাটি বসবাসের জন্য অনেক সুন্দর। অফিসিয়াল নাম ‘মালাতিয়া সেবাস্তিয়া’ হলেও স্থানীয়দের কাছে ‘বাংলাদেশ’ হিসেবেই এটি পরিচিত। বাসযাত্রী, দোকানদার, পুলিশসহ যাকেই বলুন না কেন সবাই চেনেন বাংলাদেশ নামেই। কোন বাংলাদেশি সেখানে গিয়ে ‘উই আর ফ্রম বাংলাদেশ’ বললে প্রথমে সবাই আর্মেনিয়ার বাংলাদেশের কথাই মনে করবেন!
যাই হোক, গুগলে প্রাপ্ত একটি আর্টিকেল থেকে জানা গেলো এই এলাকার নাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। ইয়েরেভানের অন্যান্য এলাকা থেকে তুলনামূলক নিচু স্থানে অবস্থিত, তুলনামূলক অনুন্নত, বাংলাদেশের মতো কিছুটা সবুজ অরণ্য ইত্যাদি মিলিয়ে এটির নাম বাংলাদেশ। একটি লেখায় বলা হয়েছে, আর্মেনিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করার প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান থেকেও এমন নামকরণ করা হতে পারে ে-এএমসি