বাস্তবতা মেনে নেওয়া কঠিন
রুদ্র মিজান(ফেসবুক থেকে)- দাদু ভাই নেই। নেই মানে নেই। নেই মানে পৃথিবীতে নেই। ওপারে চলে যাওয়া। ঘুম ভাঙতেই সংবাদটি পেলাম।গত রাতে আপনি বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে।আপনার বিদায়ের আগে দেখা হলো না আপনার সঙ্গে। রাজনীতির কঠিন অঙ্কগুলো বুঝিয়ে দিতে আপনি ছিলেন সফল শিক্ষক। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ হয়ে একসময় বিএনপি। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়ে দিরাই উপজেলার চেয়ারম্যান। বিএনপির উপজেলার সভাপতি। জীবনে অনেক ঝড়ে ধৈর্য্যের কঠিন পরিচয় দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আপনার কাছে আমার অনেক ঋণ। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেলে আপনার সঙ্গে দেখা করতাম। নানা কারণে গত ঈদে তা হয়ে উঠেনি। আত্মীয়তার সম্পর্কের চেয়েও আপনার সঙ্গে আমার বেশি ছিলো আত্মার সম্পর্ক। খুব মনে আছে, ২০০০ সালের পরবর্তী সময়গুলোতে, যখন আমি দিরাইয়ে ছিলাম। রাতের বৈঠক শেষে দোকান থেকে একটি কমলা নিতেন, তারপর হাঁটতে হাঁটতে দুজনে তা খেয়েছি। জানতেন আমি মিষ্টি পছন্দ করি। রুচিতা রেস্টুরেন্টে পাশে বসে আমাকে মিষ্টি খাওয়াতেন। আপনার ডায়বেটিকস, তাই শুধুই আমার জন্যই আপনার এই আয়োজন। এভাবে কতদিন কেটেছে আমাদের। শুধু কি তাই, আমি যখন নিশ্চিত একটি সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি, রাতের অন্ধকারে একটি ফোন কলে আপনি দ্রুত ছুটে গিয়েছিলেন ধল সড়কে। আপনি কতো উদার, নির্ভীক, নেতৃত্বের গুণ সম্পন্ন ছিলেন তা কি করে বুঝাবো।একসঙ্গে বসে হাসতে হাসতে কঠিন অঙ্ক বুঝানোর দিন, পাশে বসিয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর দিন আর আসবে না। কাউকে এভাবে দাদু ভাই বলে ডাকবো না। আপনাকে আর কোথাও পাব না। কোথাও না। এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। মহান আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসীব করুন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস গতরাত পৌনে ৩ টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহিওয়াইন্নাইলাইহিরাজিউন)।