আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই। বিএনপিকে ভাঙার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট। সোমবার বিকেলে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যেভাবে নেতিবাচক, অগণতান্ত্রিক রাজনীতিকে আঁকড়ে ধরেছে, তাতে বিএনপি ভাঙার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট। তিনি বলেন, মামলা–হামলা সহ্য করে আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে। মামলা-হামলা সহ্য করেই বিএনপিকে আন্দোলনে পরাজিত করেছে আওয়ামী লীগ। মামলা–হামলার ভয়ে আজকে বিএনপি তাদের সংবিধান পরিবর্তন করে ফেলেছে। বিএনপির ইমানের জোর এত হালকা, পালকের মতো হালকা ইমান। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়ে যান অথবা দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়ে যায়, সে কারণে সরকারি দল যাতে দল ভাঙতে না পারে, সে জন্য বিএনপি সাত ধারা নির্বাসনে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল থেকে বিএনপির সদস্য সংগ্রহের গঠনতান্ত্রিক নিয়ম পাল্টে গেছে, হাস্যকর।

 রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বিএনপির প্রতিনিধিরা দলের পরিবর্তিত গঠনতন্ত্র জমা দেন। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় বলা হয়েছিল, দুর্নীতিবাজ কেউ দলের সদস্য বা দলের কোনো কমিটিতে থাকতে পারবেন না। ওবায়দুল কাদের বলেন, যখন মামলার রায় হবে, তখন মিউ করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। কীভাবে বের হলো? রাতের অন্ধকারে এক কলমের খোঁচায় বিএনপির গঠনতন্ত্রের সাত ধারা নির্বাসনে চলে গেল। কী অদ্ভুত এ দেশ, কী অদ্ভুত বিএনপি, কী অদ্ভুত বিএনপির গণতন্ত্র। কী তাদের গঠনতন্ত্র। ঘরেই যাদের গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন নিয়মের মধ্যে হয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ফোরাম ২ হাজার ৫০০ জন কাউন্সিলরের অনুমোদন ছাড়া একটি শব্দও আমরা পরিবর্তন করতে পারি না।

খালেদা জিয়ার মামলায় রায়কে কেন্দ্র করেই বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা নির্বাসনে দিয়েছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করেন, সকালে তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল ইসির কাছে পাঠালেন, তাহলে কি আদালতের রায় ইসির ইচ্ছা অনুযায়ী হবে? ইসি কি আদালতকে বলবে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না? ওবায়দুল কাদের বলেন, দেউলিয়া হলে, দণ্ডিত হলে, দুর্নীতিবাজ হলে বিএনপির সদস্য হতে পারবে—চিনে নিন এই বিএনপিকে? ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn