বিএনপি নিয়ে তারেকের পরিকল্পনা।। জোবাইদা ফিরছেন না
জানা গেছে, রায়কে কেন্দ্র করে দলের সব পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। রোববার রাতে ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিকালে গুলশান কার্যালয়ে দলটির নেতারা যৌথসভা করেছেন। আগের দিন শনিবার রাতে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে। আজ গুলশান কার্যালয়ে আবার স্থায়ী কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার মামলার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলটির নেতারা। এদিকে, রোববার দুপুরে এক আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় হলে যে আন্দোলন হবে তা সরকার পতনের আন্দোলন হবে। আমরা তার মুক্তি দাবি করব না। সরকারের পতন করেই আমরা এদেশে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাব। এদেশের মানুষ জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি আরও বলেন, অন্যায়ভাবে যদি কোনো রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জেলের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয় তা হলে বিএনপির সিনিয়র নেতারা সবাই স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তারবরণ করে জেলে যেতে প্রস্তুত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, এই মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হলে, আমরা কি তখন কান্নাকাটি করব? ঘরে বসে থাকব? না, খালেদার মুক্তির আগেই সরকারের পতন ঘটাব। বিএনপি সরব হলে সিডরের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে। তিনি বলেন, ভিত্তিহীন মামলায় দেশনেত্রীর সাজা হলে আমরা কিছু করি বা না করি দেশের মানুষ কিছু করবে না এটা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায় না। গণতন্ত্রের স্বার্থেই গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য রাজপথে নেমে আসবে। খালেদা জিয়ার সাথে সাথে দেশের গণতন্ত্রও কারাবন্দি হয়ে পড়বে। দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, সরকার যে কোনোভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখতে চাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য করতে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে সামনে রেখে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করবে। ইতোমধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার মামলা যে ভিত্তিহীন সে সম্পর্কে ব্রিফ করবেন।
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে মাঠের নেতাদেরও মতামত নেওয়া হবে। সেখান থেকে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় কৌশল এবং রায়পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। দিনব্যাপী এই বৈঠকের জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এই বৈঠকে নেতাদের বক্তব্য শেষে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। যদি তার সাজা হয় কীভাবে দল পরিচালিত হবে, আগামী নির্বাচনে দলের ভূমিকা কী হবে তা তুলে ধরবেন। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল এবং ৬ আগস্টের পর নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে সম্মেলনের পর ৫০২ সদস্যের এই কমিটির সভা এখন পর্যন্ত হয়নি। সূত্র: আমাদের সময়