বিএমডব্লিউতে চড়ে রোববার রাতে বাসা ছাড়েন সাফাত
রাজধানীর একটি হোটেলে আটক রেখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার এক নম্বর আসামি সাফাত আহমেদকে গ্রেফতারে তার বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের অভিযান শেষে গুলশান- ২ এর ৬২নং (এনডব্লিউসি) সড়কের ২ নম্বর বাসা ‘আপন ঘর’র কেয়ারটেকারের মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি বলেন, ‘রোববার দুপুরে সর্বশেষ নিজের বিএমডব্লিউ গাড়িতে চড়ে সাফাত স্যার বাসায় আসেন। রাতে ওই গাড়িতে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর স্যার আর বাসায় ফেরেননি।’ ‘মামলা দায়েরের পর একবারই তিনি বাসায় আসেন।’ গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়েই বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পুলিশ আসার বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন, ‘পুলিশ নিজেদের মতো করে বাড়ি তল্লাশি করেছে। সাফাত স্যার সর্বশেষ কবে বাসায় এসেছেন, তার সঙ্গে আমার কী কথা হয়েছে- এসব বিষয়ে পুলিশ আমার কাছে জানতে চান। আমি যা জানি পুলিশকে তাই জানিয়েছি।’
সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার জানান, ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য আজ (মঙ্গলবার) সকালে তাদের বাসায় আসেন। কিন্তু সাফাত গত রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, সাফাত এখানে নেই। কোথায় গেছে, আমরা জানি না। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক আবদুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রত্যেক আসামির বাসায় অভিযান চালান হচ্ছে। সাফাতের বাসায় ১০-১২ জন পুলিশ পাঠান হয়। কিন্তু তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘সাফাতের বাবা গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন যে সাফাত বাড়িতে অবস্থান করছে।’ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে সাফাতের বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বনানী থানার এসআই মিল্টন বলেন, ‘আমরা ভেতরে খুঁজেছি। আসামিকে পাইনি। কিছু আলামত জব্দ করেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’ দুই তরুণীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় সাফাত ছাড়া অপর আসামিরা হলেন সাফাতের বন্ধু সাদনান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী (নাম পাওয়া যায়নি)।