সোহাগলুৎফুল কবির-সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থের বিনিময়ে বিনামুল্যের পাঠ্যবই বিতরণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুল সূত্রমতে, শিশু শ্রেণির ১৫জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪০ সেট বই বরাদ্দ, ১ম শ্রেণির ২৩ জনের বিপরীতে ৩০ সেট, ২য় শ্রেণির ২৫ জনের ৩০ সেট, ৩য় শ্রেণির ২২ জনের ৩০ সেট, ৪র্থ শ্রেণির ১৮ জনের ৩৫ সেট এবং ৫ম শ্রেণির ২৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩৫ সেট পাঠ্যবই বরাদ্দ হয়। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জানা যায়, সরকারিভাবে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণের কথা থাকলেও সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বাহিরগোলার বীনাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. ইমিলি খাতুন শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির প্রত্যেক কমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৯০ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়ে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করেছেন। ৫ম শ্রেণির জবা খাতুন, লাভলী খাতুন, ৪র্থ শ্রেণির ঐশী খাতুন, গোলাম রাব্বী, ৩য় শ্রেণির লামিয়া খাতুন, ১ম শ্রেণির কলি খাতুনসহ অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীকেই বিনামূল্যের পাঠ্যবই নিতে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, টাকা না দিলে পাঠ্যবই দেয়া হয়নি কাউকেই। অত্র স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. মকবুল হোসেন বলেন, অভিভাবকদের নিকট মৌখিক অনুমতি নিয়ে পাঠ্যবই বিতরণের সময়ই শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বার্ষিক খেলাধূলার জন্য ৯০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক ইমিলি খাতুন টাকা উত্তোলনের বিষয় স্বীকার করে বলেন, পাঠ্যবই পাওয়ার পর ছাত্র/ছাত্রীরা ঠিকমতো স্কুলে আসে না। তাই, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তমতে পাঠ্যবই বিতরণের সময় স্কুলের বার্ষিক খেলাধূলার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে, বিনামুল্যের পাঠবই বিতরণে টাকা নেয়া অত্যান্ত দুঃখজনক। এতে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা বলেন, বিনামুল্যের পাঠ্যবই বিতরণে টাকা নেয়ার বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যদি এমন হয়, তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২১৫ বার