বিশ্বম্ভরপুরে কাজ দেয়ার কথা বলে নারীকে গণধর্ষণ!
বিশ্বম্ভরপুরে কাজ দেয়ার কথা বলে হতদরিদ্র পরিবারের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের গুলগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া, মিরাজ মিয়া, দিদার হোসেন, শাহ আলম, লক্ষীপুর গ্রামের মজনু মিয়া ও পলাশ ইউনিয়নের নতুন গুলগাঁও গ্রামের আকবর আলী। গণধর্ষের শিকার নারীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন তার খালু। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিকোনা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা হতদরিদ্র পরিবারের এক সন্তানের জননীকে ঢাকায় কাজ দেয়ার কথা বলে একটি চক্র গত ১৬ জানুয়ারি বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে উপজেলার গুলগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার দীগলবাঁক ও গুলগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী নির্জন হাওরে নিয়ে মধ্যরাতে এ নারীকে ৬ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এ নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয় লোকজন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন দাস তালুকদার বলেন, আদালত বাদীর লিখিত পিটিশনটি আমলে নিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই পবিত্র কুমার সিংহ জানান, আদালতের কাগজপত্র এখনো থানায় আসেনি। এলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।