বিশ্বে বাংলাদেশ সব থেকে পরিকল্পিত দেশ : পরিকল্পনামন্ত্রী
বার্তা ডেস্ক: বিশ্বের মধ্যে সব থেকে পরিকল্পিত দেশ বাংলাদেশ। সব থেকে পরিকল্পিত সুন্দর পরিকল্পনার জাতি আমরাই বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে করা রূপরেখা সরকারের বিভিন্ন কর্তকর্তা ও গণমাধ্যমে অবহিত করা হয়। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের নোটিশ অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোভিডের যন্ত্রণা আমাদের একটু ভোগাচ্ছে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে ভালো আছি, সঠিক পথেই আছি। অনেক সূচকে ভালো আছি তবে, আদর্শিক সূচকে ভালো নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা পাওয়ার জন্য পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে থাকি। আমাদের ৫ বছর মেয়াদী, ১০, ২০ ও শতবর্ষ মেয়াদী পরিকল্পনা আছে। বিশ্বের অন্য কোন দেশে এমন পরিকল্পনা আছে বলে আমার জানা নেই।
স্বল্পোন্নত থেকে মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। দেশে দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে তিন শতাংশে। চরম দারিদ্র্যের হার হবে ১ শতাংশেরও কম। গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমবে। ৮০ শতাংশ মানুষ শহুরে জীবনযাপনের সব সুবিধা পাবে। বাড়বে গড় আয়ু, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এই বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে সরকার। সেই রূপরেখা অনুযায়ী অষ্টম, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এর বাস্তবায়ন। এমন আরও তিনটি, অর্থাৎ মোট চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত রূপ পাবে।
পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় রয়েছে ১২টি অধ্যায়। এর মধ্যে যেমন শিল্প ও বাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মতো বিষয় রয়েছে, তেমনি রয়েছে সুশাসন, মানব উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের মতো বিষয়গুলোও। এর মধ্যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো আছে, যাতে প্রতি অর্থবছরের অর্থনীতির সূচকগুলো লক্ষ্যমাত্রা বিস্তরিতভাবে দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন প্রথম পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, তথা রূপকল্প ২০২১ এর ধারাবাহিকতায় ২০ বছর মেয়াদী দ্বিতীয় এই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। অনুষ্ঠাতে সভাপতিত্ব করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।