ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ভর করবে পানির ওপর: হাসিনা
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগামী দিনে কী হবে টা নির্ভর করবে পানিবণ্টনের ওপর নির্ভর। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে ভারতের নয়া দিল্লিতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এই ইঙ্গিত দেন। চার দিনের সফরের শেষ দিনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। ভারতের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমাদের যৌথ পানিসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। সব অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে অববাহিকাভিত্তিক একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের যৌথ ভবিষ্যত নিহিত।’ মমতা যাই বলুক মোদির ওপর বাংলাদেশের আস্থা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যত দ্রুত সম্ভব তিস্তার সমাধান করতে তার সরকারের আন্তরিক আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আর তা বাস্তবায়ন হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও একটি রূপান্তরের মাধ্যমে নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে।’
তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিস্তা চুক্তির বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরোধিতার মুখে কংগ্রেস ও বিজেপি কোনো সরকারই এই চুক্তি সম্পাদন করতে পারেনি। গত শুক্রবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান শেখ হাসিনা। এই সফরে ২২টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি হলেও তিস্তা চুক্তির বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শনিবার এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন তিনি সরকারে থাকতে থাকতেই তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হবে। তবে শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। সেখানে মমতা একটি বিকল্প প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, তিস্তায় পানি নেই, এই পানি দ্বারা ভারতের চাহিদাই মিটছে না; তাই তোর্সা ও আরও দুটি নদীর পানি বণ্টন করা যেতে পারে।’