ভারতে আরেক ‘ধর্ষকগুরু’র সন্ধান
ধর্মের মুখোশে স্বঘোষিত বাবাদের চেহারাটা যে ঠিক কী রকম, রাম রহিমের ঘটনাতেই তা প্রমাণ হয়েছে। এবার খোঁজ মিলল আরেক ভণ্ড ‘বাবার’। যৌনতায় আসক্ত সেও। যৌন লালসা চরিতার্থ করতে নিজের ভক্তের কন্যাকেই বেছে নিয়েছিল। আর তার জেরেই বিপত্তি। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে রাজস্থানের ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নামে।রাজস্থানের এই বাবার নাম কৌশলেন্দ্র প্রপনাচার্য ফলহারি মহারাজ। আলোয়ারে তার আশ্রম। নিগৃহীত তরুণীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল বাবার। যেহেতু তরুণীর বাড়ির সদস্যরা ফলহারি মহারাজের শিষ্য ছিল। আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তরুণী। পড়া শেষ হওয়ার পর একটি সংস্থায় চাকরি মেলে। সে কারণেই গুরুর আশ্রমে গিয়েছিলেন তিনি। কিছু অনুদান দেয়ার ইচ্ছে ছিল তার।তরুণীর অভিযোগ, সে সময়ই তাকে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর তাকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে যৌন নিগ্রহ শুরু করে বাবা। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এরপরই বাড়ি ফিরে ভণ্ড বাবার কুকীর্তির কথা জানান ওই তরুণী। অভিযোগ করা হয় থানায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। যদিও পুলিশের গতিবিধি আগভাগেই আঁচ করে সাবধান হয়ে গেছে সেই ভণ্ড বাবা। আলোয়ারে তার আশ্রমে হানা দিয়ে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে ফলহারি মহারাজ। যদিও ডাক্তারের অনুমতি নিয়েই বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাম রহিমকাণ্ড টলিয়ে দিয়েছে গোটা দেশকেই। স্বঘোষিত ধর্মগুরু হয়ে কীভাবে কেউ যৌনতার আখড়া খুলতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ধর্ষকগুরু। নিজের যৌনতৃপ্তির খাতিরে রীতিমতো সেক্স কেভ বানিয়েছিল গুরমিত রাম রহিম। সাধ্বীদের ধরে এনে নিয়মিত ধর্ষণ থেকে যৌন হেনস্তা, কোনো কিছুই বাদ যেত না। এমনকি নিজের পালিত কন্যার সঙ্গেও তার যৌন সম্পর্ক ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে। দুটি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে আছেন গুরমিত। ঠিক তারপরই খোঁজ মিলল যৌনতায় আসক্ত আরেক বাবার। এখানেও কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোয় কিনা, সেটিই দেখার বিষয়। সূত্র : প্রতিদিন।