দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জনজীবনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। স্থবির হয়ে পড়েছে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। ব্যাহত হচ্ছে নতুন শিল্পকারখানার অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মাণকাজের স্বাভাবিক গতি। উজানের ঢল ও প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলসহ ২২ জেলার ৯৬টি উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। এরই মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া বন্যা আক্রান্ত এলাকায় রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে পণ্যের আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে শিল্পের উৎপাদনেও। এর নেতিবাচক প্রভাব আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রফতানি আয়ের ওপর পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে চলমান বন্যায় প্রায় তিন লাখ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি খাত, যা পুরো খাদ্য ব্যবস্থাপনার হিসাব পাল্টে দিয়েছে। আর কোরবানির আগেই ১১ লাখ গবাদি পশুসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে ৪৩ লাখ প্রাণী। এতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে, চর্মরোগ ও পানিবাহিত নানা রোগে বন্যা আক্রান্ত এলাকায় এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে উল্লিখিত সব তথ্য। এদিকে ভয়াবহ বন্যায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৫ লাখ টন চাল ও পাঁচ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বেসরকারি আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে দুই মাসের ব্যবধানে চাল আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক দুই দফা কমানো হয়। সর্বশেষ কমিয়ে তা ২ শতাংশে আনা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বন্যাসম্পৃক্ত এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বুধবার যুগান্তরকে বলেন, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রফতানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমতে পারে। তবে অক্টোবরে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনা গতিশীলতার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য সচল রাখতে এরই মধ্যে বন্ধর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বন্যাপ্লাবিত জেলার মধ্যে অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলে। তবে এসব এলাকার শিল্পকারখানার অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে পড়েছে। নতুন শিল্পকারখানা সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না। কারণ দিনের পর দিন টানা বৃষ্টিতে কোনো ধরনের কাজ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব না-ও হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে অতিবৃষ্টির কারণে বন্দরগুলোয় পণ্যের লোড-আনলোড, খালাস ও জাহাজীকরণে সমস্যা হচ্ছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নির্বিঘ্নে পণ্য আনা-নেয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে রফতানিপণ্য বন্দরে পৌঁছে দেয়া এক ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অতিবৃষ্টিতে শিল্পকারখানায় শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার সমস্যার কারণে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে যুগান্তরকে জানান বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, আমদানি-রফতানির প্রধান সমস্যা হচ্ছে বন্দরকেন্দ্রিক। সেখানে পণ্যের লোড-আনলোড, খালাস ও জাহাজীকরণ সমস্যাই হচ্ছে সবচেয়ে তীব্র। এর সমস্যাও সমাধান করতে হবে।
বাংলাদেশ নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান যুগান্তরকে বলেন, টানা বৃষ্টি এবং বন্যায় খুব বেশি সমস্যা না হলেও তা দীর্ঘায়িত হলে কারখানা ডুবে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে পরবর্তী এক দুই-মাস হয়তো রফতানি প্রবৃদ্ধি কমে যাবে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, বি-বাড়িয়া, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও যশোরে বিভিন্ন এলাকা বন্যাপ্লাবিত হয়। এসব এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেখানের কাজকর্ম প্রায় বন্ধ। অধিকাংশ মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন ত্রাণের ওপর। অনেকে বসতভিটা ছেড়ে ওঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব অঞ্চলের মানুষ। সরকারি হিসাবে বন্যাকবিলত অঞ্চলে ৭ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৪৫টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে ২৩ হাজার ৭৪৫টি এবং আংশিক হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০টি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ৪ লাখ হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার কথা বলা হলেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮৭ হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক নষ্ট হওয়া জমির পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার ২১৭ হেক্টর এবং পুরোপুরি নষ্ট হওয়া জমি হচ্ছে ১ লাখ ২১ হাজার ১৭০ হেক্টর। ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের খাদ্য সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বুধবার দাবি করেন, বন্যায় খাদ্য সংকট হবে না।
এদিকে ভয়াবহ এ বন্যায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে আসন্ন কোরবানির পশুর বাণিজ্যে। কারণ বন্যায় অনেক পশু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ সেবা বিভাগের হিসাব মতে, এ সময় প্রায় ৮ লাখ গরু, ৫৩ হজার মহিষ, ২ লাখ ৩৭ হাজার ছাগল, ১ লাখ ৯ হাজার ভেড়া ও ২৪ লাখ মুরগি এবং প্রায় সাড়ে ৬ লাখ হাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি কোরবানির ঈদের কেনাকাটা ও ব্যবসা-বাণিজ্য ২১ জেলায় প্রায় থেমে গেছে। সবমিলে এবার কোরবানির ঈদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোর অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে ব্রিজ ও কালভার্ট। এসব অঞ্চলে ১১২৩ কিলোমিটার রাস্তা নষ্ট হয়েছে। ব্রিজ ও কালভার্ট নষ্ট হয়েছে ৪৭টি। বেড়িবাঁধ ক্ষতি হয়েছে ১৫৩ কিলোমিটার। এসব রাস্তাঘাট ও কালভার্ট নষ্ট হওয়ায় স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার বন্যায় ২৩ জেলার প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক হাজার ও বাকিগুলো প্রাথমিক স্কুল। আর্থিক মূল্যে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিপিই উপপরিচালক নুরুল আমিন যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। বুধবার পর্যন্ত ১ হাজার ৩শ’ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন। রংপুর বিভাগে ৮ জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় ৯শ’ প্রতিষ্ঠান পাঠদান বন্ধ আছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৪৪১টি, দিনাজপুরে ৩০৫টি, রংপুরের তিন উপজেলায় ৮টি, গাইবান্ধায় ১৩০টি রয়েছে। নীলফামারীতে ২টি স্কুল ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন জেলায় ৫৪টি স্কুলের কোনোটির মাঠ, দেয়াল বা কক্ষের মেঝে নদীগর্ভে চলে গেছে।
মাউশিতে স্থাপিত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের হিসাবে বুধবার পর্যন্ত ১৩ জেলায় ১ হাজার ২২১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মাউশি সহকারী পরিচালক চন্দ্রশেখর হালদার জানান, ‘বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উভয় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। অবকাঠামোগত ক্ষতি দূর করতে প্রতিষ্ঠান সংস্কার করা হবে। মাঠ পর্যায় থেকে তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে।
এদিকে যুগান্তরের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস জানিয়েছে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রামের কৃষি-মৎস্য ও সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম মহানগর এবং জেলার ১৪ উপজেলায় আর্থিক ক্ষতি প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। জেলার ১৪টি উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ২২ হাজার হেক্টর জমির আমন-আউশ ও বীজতলা এবং শাক-সবজি ক্ষেত। ভেসে গেছে প্রায় তিন হাজার পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক, সেতু ও কালভার্ট। অসংখ্য ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নগরী ও জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও মেলেনি পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তাও। নগরীর শুধু সড়ক যোগাযোগ খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরেও বিভিন্ন সময়ে পণ্য খালাস ও ডেলিভারিতে বিঘœ ঘটে। এ কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যদিও তা টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা দুরূহ।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবং জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে অন্তত ২২ হাজার হেক্টর জমির আমন-আউশ ও বীজতলা এবং শাক-সবজি ক্ষেত। ভেসে গেছে প্রায় তিন হাজার পুকুরের মাছ।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিনুল হক জানান, ‘জেলার ১৪ উপজেলায় ৬৬৬ হেক্টর সমপরিমাণের প্রায় তিন হাজার পুকুর বা প্রজেক্টের মাছ ভেসে গেছে। এতে চাষিদের অন্তত ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পটিয়ায় ৫৫০, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৮৩, ফটিকছড়িতে ৪৮৬, চন্দনাইশে ৪৭৪, রাউজানে ৩৩৬টিসহ জেলার তিন হাজার ৮০টি মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম এলজিইডি সূত্র জানায়, জেলার ১৪ উপজেলায় ১১ হাজার ১৭ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার সড়ক আছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে সড়ক রয়েছে ১২ হাজার ৪৬ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সড়ক, কালভার্ট ও সেতুর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর জেটি ও বহির্নোঙ্গরে বৈরী আবহাওয়া, সাগর উত্তাল থাকাসহ নানা কারণে কারণে পণ্য ডেলিভারি ও খালাসে বিঘœ ঘটে। এতে কনটেইনার ও জাহাজ জট লেগে যায়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, চলতি মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো ছাড়াও টানা বৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় বন্দরের সার্বিক কাজে বিঘœ সৃষ্টি হয়। এ কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে যা টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা দুরূহ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn