মহামারিতে এইচপির পিসি বিক্রি হয়েছে লক্ষমাত্রার চেয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বেশি
মোজাহেদুল ইসলাম-এইচপি ইনক জানিয়েছে, তারা তাদের উপার্জনের ধারা অব্যহত রেখেছে। গত শুক্রবার তাদের মার্কেট শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ। ওয়লস্ট্রিটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচপির তৃতীয় প্রান্তিকে পিসি বিক্রি হয়েছে লক্ষমাত্রার চেয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বেশি। এজন্য মহামারিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এইচপি কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদন বলছে, এতে তাদের অন্তত ৭৩৪ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে ১.২ বিলিয়ন ডলার বা ৫২ সেন্ট শেয়ারের তুলনায় শেয়ার ছিল ৭৯ সেন্ট। সমন্বিত এ উপার্জনটি গত বছর একই প্রান্তিকে ছিল ৪৯ সেন্ট যা বর্তমানে ৫৮ সেন্ট। এক বছর আগের তুলনায় ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৪.৩ বিলিয়নে রাজস্ব ২ শতাংশ কমেছে। মূলত; প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্টিং বিভাগের প্রতিযোগিতার কারণে প্রত্যাশার চেয়ে ১ বিলিয়ন ডলার কম আয় হয়েছে। ফ্যাক্টসেটের বিশ্লেষকরা ৪৩ সেন্ট শেয়ার বিক্রি করে ১৩.৩ বিলিয়ন ডলার আয়ের পূর্বভাস দিয়ে ছিল। তবে পিসি বিক্রি দূর্দান্ত ছিল। বর্তমানে এগুলো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
এইচপির চিফ এক্সিকিউটিভ এনরিক লরেস মার্কেটওয়াচকে বলেন, ‘আমরা আগে একটি ট্রেন্ড দেখেছি, যেখানে প্রতি বাড়িতে এক থেকে দুইটি পিসি থাকত। এখন এদের মধ্যে একজন বাড়িতে থাকছে কারণ তাদের কাজ ও শেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।’ এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতিটি শেয়ার ৫০ থেকে ৫৪ সেন্টে অফার দিয়েছে। রিমোট ওয়ার্কিং, অনলাইন লার্নিং এবং অনলাইনে কাজ বেশি হওয়াতে মহামারির সময়ে এইচপি বেশ উপকৃত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় পিসি বিক্রি বেড়েছে ৭ শতাংশ। বিশ্লেষক প্যাটরিক মুরাদের মতে, অবিশ্বাস্যভাবে গ্রাহক পর্যায়ে পিসি বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। পিসিতে রাজস্ব বেড়েছে গতবছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ ও নোটবুকে ৩২ শতাংশ। সূত্র :মার্কেটওয়াচ