মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্টে হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৯ রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যও নিহত হন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা পুলিশ পোস্টে হামলা এবং একটি সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষ বাঁধে। খবর: আলজাজিরা।শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু কি’র কার্যালয় থেকে হতাহতের এ পরিসংখ্যান দেয়া হয়। নিহত রোহিঙ্গাদের সবাই যোদ্ধা ছিল বলে এতে দাবি করা হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে প্রায় ১৫০ জন যোদ্ধা উত্তরাঞ্চলীয় মাউংদো শহর এলাকায় এই সমন্বিত হামলা চালায়। আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (এআরএসএ) এক টুইট বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা কিংবা কতজন ওই হামলায় অংশ নিয়েছিল এ বিষয়ে কিছু বলেনি। মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে এআরএসএ জানায়, তারা ২৫টির বেশি এলাকায় আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।সংগঠনটি দাবি করে, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় রাথেতুয়াং শহর এলাকা গত দুই সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ। সেখানে রোহিঙ্গারা না খেয়ে মারা যাচ্ছেন। মাউংদোতেও তারা যখন একই কাজ করতে যাচ্ছিল, তখন বার্মিজ উপনিবেশিক বাহিনীকে হটাতে চূড়ান্ত পর্যায়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছি।রোহিঙ্গাদের আন্দোলনের উপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং তাদের নাগরিকত্ব প্রদানে জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কফি আনানের নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেলের আহ্বানের কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn