মৃত্যুর থাবা এতো ভয়ংকর হয়!
পীর হাবিবুর রহমান(ফেসবুক থেকে)-
কাল রাত থেকে শরীরে পেইন।সকালে ঘুম ভাংলো প্রচন্ড মাথার যন্তনা,জ্বর আর শরীরে ব্যাথা নিয়ে।সারাদিন ই শয্যায় পরে থাকা।ওষুধ খেয়ে কাহিল।মন বিষাদগ্রস্হ এমনিতেই।তার উপরে নেপালে দূর্ঘটনা কবলিত ইউ এস বাংলার উড়োজাহাজের ধ্বংস স্তুপ থেকে সারি লাশ আমাদের শোকে স্তব্দ করেছে! জীবন এতো রহস্যময়।জীবন এতো ছোট, তাই বলে এভাবে আচমকা নিভে যাবে একেকটি স্বপ্ন? বহুদিন অাওয়ামীলীগ বিট করেছি যতোদিন রিপোর্টার ছিলাম।অনুজ ফয়সাল বৈশাখী টিভি থেকে করছিলো।হয়তো দেখা হয়েছে কথা হয়নি।তার বোন বলেছে,আর কোনদিন আপু বলে ডাকবেনা।আহারে বোনের মনের কষ্ট । ছেলেটি ছুটি নিয়ে কাউকে না জানিয়ে নেপাল ঘুরতে যা্য়।নেপালের মাটি স্পর্শ করার আগেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে।এটা হলো!সহজ সরল জীবনের প্রাপ্তি এভাবেই সব লেনদেনের হিসেব মিটিয়ে দেবে সবাইকে কাঁদিয়ে?
কেউ পরিবার স্বজন বন্ধু কাউকেই কিছু বলে যেতে পারলোনা!
একটি মেয়ের হাত বেড়িয়েছে ধ্বংসস্তুপ থেকে।১৩দিন আগে বিয়ে হয়েছিলো।ভাগ্নে মোনাবিল শোক অনুভূতি দিয়েছে।তার বন্ধু ও নব বধুর এই করুন মৃত্যুতে।বিয়ের মেহেদীর রং মুছেনি!জীবনের সমাধি ঘটেছে!হানিমুন হলোনা!নিয়তির এ কেমন নিষ্টুর বিধান! আরেকটি মেয়ে হাসিমুখে তৃতীয় হানিমুন যাত্রার ছবি দেয়!সব নিভে গেছে।স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে।জীবনের ইতি। মেডিকেল পড়ুয়া এতো ছাত্র্ছাত্রী কেমন করে নিষ্টুর দূর্ঘটনায় বিদায় নিয়েছে।বাবা মা তাদের কেমন আছেন?সারাজীবন এই মৃত্যু তাদের পুড়াবে,কষ্ট দেবে, কাঁদাবে। পাইলট আবিদ মারা গেছেন।কো পাইলট পৃথুলা মায়ের বুকের সবেধন নীলমনি।মৃত্যুর মুখে বেচে যেতে পারতেন!১০জন নেপালিকে বাচাতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন!মৃত্যুও কি জীবনকে অনেক সুন্দর করে দেয় পৃথুলা!ডটার অব বাংলাদেশ তোমাকে অভিবাদন। একটি বাচ্ছা মা বাবার গা ঘেষে দাড়িয়ে আছে।রিমু ও বিপাশা দম্পতির কি সূখী সুন্দর পরিবার।এক দূর্ঘটনায় শেষ!অনুজ জাবি অধ্যাপক ইউসুফ হাসান অর্কের আত্বীয় জানলাম।বিপাশা সুজনের সমন্বয়কারী।দু একবার ফোন করেছেন।দুজনই সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন।মৃত্যুর থাবা এতো ভয়ংকর হয়! গনমাধ্যম আর এক দুদিন এ নিয়ে মাতামাতি করবে।আমরা হা হুহুতাশ করে ভুলে যাবো!কিন্তু এই মূত্যুর মিছিলে যাদের মুখ চীরঘুমে গেছে তাদের পরিবার,মা বাবার বুকের গহীন থেকে কি আর্তনাদ আসছে জানিনা।আল্লাহ তাদের এই যন্তনা কষ্ট সইবার সামর্থ দিন।