যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কাউন্সিল ২ জানুয়ারী।। কারা হচ্ছেন কান্ডারি !
যুক্তরাজ্য : আর মাত্র ক’দিন পরে অর্থ্যাৎ আগামী ০২/০১/১৮ মঙ্গলবার নতুন বছরের নব উদ্ধিপনায় অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত যুক্তরাজ্য বিএনপির সম্মেলন ২০১৮। সবার দৃষ্টি এখন যুক্তরাজ্য বিএনপির সম্মেলনের দিগে।যুক্তরাজ্য বিএনপি’র বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে।একই সঙ্গে নতুন এ কমিটিতে কারা আসছেন, নেতৃত্বের পালাবদল নাকী পুরনোতেই আস্থা এসব নিয়েও হচ্ছে চূলচেরা বিশ্লেষণ। ভিন্ন জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অন্তত ত্যাগী, যোগ্য ও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন হবে এমনটিই আশা করছেন দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা। তারা নতুন নেতৃত্বের স্বপ্নে দিন গুণছেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের তৃণ মুলের প্রাণ পুরুষ ক্যারেসমেটিক রাজনীতিবিদ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের স্বপ্নদ্রষ্টা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরি ও বিএনপির ভাবী কান্ডারি জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের উপর। দলীয় সূত্র জানায়, নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন-যুক্তরাজ্য বিএনপির বর্তমান সভাপতি এম এ মালেক ও শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ।তবে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথাবলে জানা গেছে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালিকের পাল্লাইভারী,কারন বহিঃবিশ্বে হাসিনা বিরুধী আন্দলনে মালিকের ভূমিকা ছিলো প্ৰশংসনীয়,বহিঃবিশ্বে হাসিনা বিরোধী আন্দেলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকার দলীয় লোকদের সাথে তিনি সংঘর্ষ মোকাবেলা করেছেন।যেখানে হাসিনা সেখানে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে।তার সংগ্রামী ও সাহসী ভূমিকা ছিল প্ৰশংসনীয়।
সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন- বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ, বিএনপি নেতা নাসিম আহমেদ চৌধুরী, বর্তমান যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন,সহ সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন।বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে সাধারণ সম্পাদক পদে কয়ছর এম রহমান এগিয়ে আছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন-বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, বিএনপি নেতা মিছবাহুজ্জামান সোহেল, যুবদল নেতা আব্দুল বাছিত বাদশা, টিপু আহমেদ। নতুন কমিটিতে সভাপদি পদে তৃণমূল থেকে উচ্চারিত হচ্ছে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিএনপির বর্তমান সভাপতি এম এ মালেকের নাম। সাধারন সম্পাদক পদে আলোচনায় এগিয়ে আছেন বর্তমান সাধারন সম্পাদক এম কয়ছর আহমদ। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কফিতে চুমুক দেয়ার ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা চলছে তরুণ রাজনীতিবিদ বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক খছরুজ্জামান খসরুর নাম। দলীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতরা ক্রমশ ইউরোপের রাজনীতিতে উঠে আসছেন। শুধু সংসদ সদস্যই নয় বরং কেউ কেউ ভবিষ্যৎ মন্ত্রী হওয়ারও অপেক্ষায় আছেন। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী কমিউনিটি ও বিএনপি সমর্থক রাজনীতিক কমিটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ কারণেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে গ্রহণযোগ্য, দলের জন্য ত্যাগী ও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদের নতুন কমিটিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
শুধুমাত্র দলীয় জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে এক বুক আশা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রত্যেকটি নেতা কর্মী। তাদের প্রত্যাশা দলের ভাবী কান্ডারী তৃণমূল রাজনীতির উদ্ভাবক তারেক রহমান পুনরায় যুক্তরাজ্য বিএনপিতে সঠিক কর্মঠ ত্যাগীদের দলে পদযুক্ত করবেন। গণতান্ত্রিক উপায়ে যোগ্য নেতাদেরই তিনি নেতৃত্বে আনবেন। তৃণমূল কর্মীরা মনে করেন, সামনে নতুন কমিটিতে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতা যারা হবেন তারা অন্তত কর্মীবান্ধব হবেন। দলকে শেকড় থেকে সুসংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পতন আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবেন। এক্ষেত্রে লবিইংকে গুরুত্ব না দিয়ে পাকা জহুরিকে বাছাই করতে হবে। সুবিধাবাদী ও দলের জন্য বিষফোঁড়া নেতাদের কিক আউট করতে হবে। সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্য বিভিন্ন জোনে এমন অনেক নেতা রয়েছেন যারা যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু বরাবরই তারা অবহেলিত থেকে গেছেন। এসব নেতা-কর্মীদের নতুন নেতৃত্বে ঠাঁই দিলে তারাও তৈরি করতে পারেন নতুন ইতিহাস। কমিটিতে পদ-প্রত্যাশী সকল নেতার ব্যাপারেই ভালোভাবে অবগত আছেন তারেক রহমান। এ কারণেই এবার যোগ্যতর নেতাকেই নেতৃত্বে আনা হবে এখানে, এমন আশায় বুক বেধেঁছেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা মনে করেন যুক্তরাজ্যে তারেক রহমান যেহেতু গত কয়েক বছর ধরে সরাসরি রাজনীতি তদারকি করছেন সেক্ষেত্রে এবার সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের আসন্ন কমিটিতে স্থান পাবার সম্ভাবনা বেশী। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর। এখন শুধু দেখার পালা । তবে এজন্য অপেক্ষা করতে হবে।