যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার পর বাঁধনের লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর সহপাঠীরা। জানা যায়, তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুর চৌরাস্তা টেরিপাড়ায়। তিনি পরিবারের একমাত্র ছেলে। এদিকে বাঁধনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উচিটা শহরে বাঙালি কমিউনিটির মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকে এ খবর জানতে ভিড় জমায় ডাউন-টাউন কোট প্রাঙ্গণে। উচ্চশিক্ষার আশায় দীর্ঘ সাত বছর আগে বাঁধন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বাটলার কমিউনিটি কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অ্যাসোসিয়েট শেষ করে আগামী সেশনে ক্যানসাস ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ করেছিলেন। আগামী ডিসেম্বরে তাঁর কেইউতে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। মা-বাবার একমাত্র সন্তান বাঁধন। স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় পড়ালেখা করতে এসে এভাবে লাশ হয়ে ফিরে যাওয়াকে কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সতীর্থরা। বাঁধনের ছোটবেলার বন্ধু নাঈম জানান, বাঁধন দুই মাস ধরে পিৎজা হাট ডেলিভারির কাজ করেছিলেন। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে ঘরে ফিরে আসতেন। কিন্তু শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বাঁধন ঘরে না ফেরাতে তিনি বাঁধনকে খুঁজতে রাত তিনটার দিকে বিভিন্ন হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে খোঁজ নেন। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাঁধন বন্ধুদের কথা দিয়েছিলেন, থ্যাংকস গিভিংডেতে নিজে রান্না করে খাওয়াবেন । বড় ধরনের মুরগিও কিনে এনে সব আয়োজন ঠিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু নিয়তি সবার কাছ থেকে বাঁধনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। উচিটা শহরে এখন যেন বোবা কান্না! বাঙালি কমিউনিটিতে বাঁধন ছিলেন অনন্য এক প্রতিভা। যেকোনো অনুষ্ঠান বাঁধন জমিয়ে তুলতেন। যেন সবাইকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলেন না–ফেরার দেশে।