‘যুবলীগ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলে ভিসি পদ ছাড়তেও রাজি’
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের দীর্ঘ আট বছরের জট খুলছে।আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস। আর এ কংগ্রেসকে সামনে রেখে রোববার (২০ অক্টোবর) গণভবনে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে বসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে অনেকটাই ব্যাকফুটে দেশের বৃহত্তম এই যুব সংগঠনটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে একে একে ধরা পড়েছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। এমন অভিজ্ঞতায় চরম অস্বস্তিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর জাতীয় কংগ্রেসকে সামনে রেখে চলছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা। নেতৃত্ব নির্বাচনে নীতি-নৈতিকতা ও সাংগঠনিক যোগ্যতা গুরুত্ব পাচ্ছে। এদিকে, যুবলীগের দায়িত্ব নিতে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এ জন্য তিনি ভিসির পদ ছাড়তেও রাজি আছেন। অধ্যাপক মীজানুর রহমান যুবলীগের বর্তমান কমিটির প্রথম প্রেসিডিয়াম সদস্য। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভিসি হওয়ার পর তিনি যুবলীগের কোনো বৈঠকে যাননি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন ভিসি ড. মীজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১১টায় ওই টক শোটি প্রচারিত হয়।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টায় নিজের ফেসবুক পেজে ওই টক শোর ভিডিওটি শেয়ার দেন তিনি। ওই টক শোতে যুবলীগ প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। এ বিষয়ে ভিসি ড. মীজানুর রহমান বলেন, আমাকে যদি বলা হয়, আপনি যুবলীগের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি না? তবে আমি সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্য বা চাকরি ছেড়ে দেব এবং যুবলীগের দায়িত্ব নেব। ভিসি আরও বলেন, আমি উপাচার্য হওয়ার পর আর কোনো (যুবলীগের ) মিটিংয়ে যাই না। তবে যদি আমাকে এখনো বলা হয় যুবলীগের দায়িত্ব নিতে হবে, আমি ভাইস চ্যান্সেলরের পদ ছেড়েই দায়িত্ব নেব। আমাকে যদি বলা হয়, আপনি যুবলীগের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি না? তবে আমি সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্য বা চাকরি ছেড়ে দিয়ে (যুবলীগের) দায়িত্ব নেব। কারণ, এটা এত ভালোবাসার একটি সংগঠন, আমি উপাচার্যশিপ ছেড়ে দিতে রাজি আছি। ড. মীজানুর রহমান ২০১৩ সালের ২০ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুবলীগের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ ওঠে। আর এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানও চালায়। যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ একাধিক নেতা গ্রেপ্তার হন। এর পর থেকে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও উঠে আসে। এ ছাড়া ওমর ফারুক চৌধুরীর বিদেশ যেতে বাধা ও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।