রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কালিকাপ্রসাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন
কলকাতার জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দোহার’ এর গায়ক কালিকাপ্রসাদ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭মার্চ) সকালে মারা যান এই গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক। কোনও মৃত্যুই প্রিয় নয়। কিছু বিদায় থাকে বড় বিষন্নতার। সেভাবেই বিদায় নিলেন শিল্পী কালিকাপ্রসাদ। এদিন দুপুরে রবীন্দ্রসদনে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সঙ্গীতজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শিল্পীর।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রথমে শিল্পীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর সেতু টোলপ্লাজায়। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দেহ নিয়ে আসা হয় শিল্পীর সন্তোষপুরের বাড়িতে। সেখানেও অগণিত ভক্ত-অনুরাগীদের ভিড়।
রবীন্দ্রসদন: বিকেল ৪টা ১৫
কালিকাপ্রসাদের দেহ পৌছল রবীন্দ্র সদনে। তখন বিষন্নতার সুর শহরের সংস্কৃতি অঙ্গনে। হাওয়ায় ভাসছে কালিকাপ্রসাদের চেনা লোকগান। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কত চেনা মুখের সারি। পূর্ণদাস বাউল, হৈমন্তী শুক্লা, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র রায়,লোপামুদ্রা ইন্দ্রনীল সেন, শ্রীজাত, ইন্দ্রানী সেন উষা উত্থুপ শ্রীকান্ত আচার্য সহ আরো অনেকে। চোখের জলে শেষ বিদায় জানিয়েছেন। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদন উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক জগতের ব্যক্তিত্বরাও। সন্ধে ছটায় রবীন্দ্রসদনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দেহ নিয়ে রওনা কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশ্যে।
কেওড়াতলা শ্মশান
সাতটার একটু আগেই মরদেহবাহী শকট এসে পৌছায় কেওড়াতলা শ্মশানে। সেখানেই গান স্যালুটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শিল্পীর। আর দেখা যাবে না শিল্পী কালিকাপ্রসাদের দরাজ হাসি। কিন্তু বেঁচে থাকবে তাঁর গান।বেঁচে থাকবে কালিকার মাটির সুর