রাসেলের কথা বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকদের বুলেটে প্রাণ হারানো শহীদ শেখ রাসেলের স্বপ্ন ছিল সে বড় হয়ে আর্মি অফিসার হবে, আর্মি হয়ে দেশের সেবা করার। আজ যদি রাসেল বেঁচে থাকতো তাহলে দেশের জন্য সে অনেক কিছু করতো। মাঝে মাঝে মনে হয় ৫৪ বছর বয়সে কেমন হতো দেখতে তাকে? বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত চোখে থেমে যান প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসেলের খুব সখ ছিল সে বড় হয়ে আর্মি অফিসার হবে। সেই ভাবেেই সে নিজেকেও তৈরি করতো। ছোট ছোট গরিব শিশুদের প্রতি তার দরদ ছিল। যখন গ্রামে যেত তখন অনেক শিশুদের জড়ো করতো। এই শিশুদের জন্য মাকে বলতো যে কাপড় চোপড় কিনে দিতে হবে। মা ঠিকই কাপড়-চোপড় কিনে দিতো। ওদেরকে নিয়ে সে প্যারেড করাতো। প্যারেড করানো শেষে তাদের খাবার দাবার দিত। আর সবাইকে ছোট ছোট এক টাকার নোটের বান্ডিল থেকে একটা করে টাকা দিত। এটা সে করবেই।
তিনি বলেন, পরিবারের ছোট হওয়ায় সবার কাছে আদরের মানুষ ছিল রাসেল। ছোট হলেও তার দায়িত্ববোধ ছিল অনেক বেশি। কিন্তু ঘাতকদের গুলিতে পরিবারের সবার সঙ্গে তাকে বিদায় নিতে হয়। ১৫ আগস্টের খুনীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও তা করতে দেয়া হয়নি। অপরধারীদের বিচার না করে পুরুস্কৃত করা হয়। এমনকি এ হত্যকাণ্ডের কোনো বিচার হবেনা বলেও আইন পাস হয়। যার প্রভাব আমাদের সমাজে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, যখন সে আব্বা বলে ডাকতো তখন মা বলতো, আমি তোমার আব্বা। আমাকেই আব্বা ডাকো। সেই জন্যই সে জেলখানায় গিয়ে আব্বাকেও আব্বা বলে ডাকতো, আম্মাকেও আব্বা বলে ডাকতো। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের প্রতি কোনো অন্যায়-অবিচার বরদাশত করা হবে না। যারা শিশু নির্যাতন করবে তাদের অবশ্যই সাজা পেতে হবে।