রায়হান হত্যা : বন্দর ফাঁড়ি পরিদর্শন শেষে যা বললো পিবিআই
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে আখালিয়া নেহাারিপাড়ার রায়হান আহমদ (৩৪) নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকেলে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর বক্তব্য পাল্টাতে থাকে পুলিশ। পরিবার দাবি- সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারায় রায়হান। এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বন্দর ফাঁড়ির সকল পুলিশকে অভিযুক্ত করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় আসামিদের অজ্ঞাত রেখে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পরদিন রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এসএমপি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কোতোয়ালি থানার সহকারি কমিশনার নির্মল চক্রবর্তী ও বিমানবন্দর থানার সহকারী কমিশনার প্রবাস কুমার সিংহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায় তদন্ত কমিটি। পরে সোমবার বিকেলে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াসহ ৪ পুলিশকে সাময়ীক বরখাস্ত ও ৩ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়। সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা চার পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহারকৃত তিন পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- এ.এস.আই আশেক এলাহী, এ.এস.আই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।