শরিয়াহভিত্তিক বন্ড ছেড়ে ৪০০ কোটি টাকা তুলতে চাচ্ছে রবি
শরিয়াহভিত্তিক নিরাপত্তা বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে স্থানীয় বাজার থেকে চারশ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে মোবাইল অপারেটর রবি। এ ক্ষেত্রে দেয়া প্রতিটি সার্টিফিকেটের অভিহিত মূল্য ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল অপারেটরটি বলছে, দেশজুড়ে নেটওয়ার্ক আওতাভুক্ত এলাকা সম্প্রসারিত ও কার্যকর করতে এই অর্থ ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে তারা। ইস্যু করার পর থেকে এই সার্টিফিকিটের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এ ক্ষেত্রে অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে(বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে রবি। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান বাজারের ওপর ভিত্তি করে আট শতাংশের বেশি সুদের হার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রবির প্রধান করপোরেট ও নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহেদ আলম বলেন, স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য স্থানীয় বাজারে এই বন্ড সহজলভ্য করে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে একটি দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রবি তার বিনিয়োগে বৈচিত্র আনতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়া নির্ভর করছে নিয়্ন্ত্রক সংস্থার অনুমতির ওপর। অনুমতি পেলেই রবি তার কার্যক্রম শুরু করে দেবে। রবির আবেদনে বলা হয়েছে, জিরো-কুপন ইসলামিক সার্টিফিকেটের ট্রাস্টি হবে সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। আর মূল আয়োজক হবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। আবেদন পর্যালোচনার পর কোনো আইন বাধা রয়েছে কিনা, তা জানতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের(বিএসইসি) কাছ থেকে মন্তব্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, বিএসইসির কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, এতে কোনো আইনগত বাধা নেই; বরং কোম্পানির জন্য এটা ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে।
আবেদনে বন্ডের পাশাপাশি তাদের লাইসেন্স জুড়ে দেয়নি বলে নিশ্চিত করেছে রবি। নিরাপত্তা বন্ডের লাভের অনুপাত সম্পর্কে আলম বলেন, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ইস্যুকারী ব্যাংক এটা নির্ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে বন্ড-ইস্যুকারী কোম্পানির কিছু করার নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের(আইপিও) জন্য যোগ্য হতে হলে পরপর তিন বছর লাভে থাকতে হবে কোম্পানিকে। দুর্ভাগ্যবশত, রবি সেটা করতে পারেনি। কিন্তু আইপিওর জন্য রবি সর্বদা গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। যদিও সব শর্ত পূরণের পর এটা করা হয়েছে। পরপর কয়েক বছর লসের পর গত বছরের শেষ থেকে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে রবি।