শহরের নতুনপাড়ায় বখাটেপনার ঘটনায় চার জনের নামে মামলা
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম নতুনপাড়া এলাকার জনৈক শিক্ষিকাকে বখাটে কর্তৃক উত্ত্যক্ত ও তার ভাইকে মারধরের ঘটনায় সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী টিটু রঞ্জন দাস গত ১ আগস্ট রাতে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও গতকাল মঙ্গলবার সকালে থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি রেকর্ড করে। এদিকে মামলা দায়েরের পর বখাটেরা ওই শিক্ষিকাকে অপহরণের হুমকি দিয়ে তার পরিবারের লোকদেরও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পশ্চিম নতুনপাড়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষিকাকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে কয়েকজন বখাটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার বড় ভাই শহরের বড়পাড়ার শিহাব, বক্কর, প্রমি ও শিব্বিরকে তার শিক্ষিকা বোনকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য অনুরোধ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বখাটেরা তার ভাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। গত ১ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওই শিক্ষিকা তার বৌদিকে নিয়ে শহরের দোকানে কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় নতুনপাড়ার পূর্ব পাশের রাস্তায় ওই শিক্ষিকাকে বহনকারী রিকশার গতিরোধ করে তাকে উত্ত্যক্ত করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে বখাটেরা। এসময় ওই শিক্ষিকা ও তার বৌদিকে বখাটেদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বললে মামলার বাদী জেলা যুবলীগ নেতা টিটু রঞ্জন দাস এগিয়ে এসে বখাটেদের কবল থেকে তার বোন ও বৌদিকে রক্ষা করেন। এসময় টিটু রঞ্জন দাসকেও মারধর করে বখাটেরা। এ ঘটনায় রাতেই বখাটেদের হাতে আহত বাদী টিটু রঞ্জন দাস সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলা রেকর্ড না করার জন্য বিষয়টি আপসে নিষ্পত্তি করে দেওয়া হবে এই মর্মে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি পুলিশকে অনুরোধ জানান। নতুনপাড়া ও পশ্চিম নতুনপাড়ায় বেপরোয়া বখাটেপনা এবং এই ঘটনাটি কিছুদিন আগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভায় কয়েকজন সাংবাদিক অবগত করেন। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে সদর থানা পুলিশ বড়পাড়ার নূর ইসলামের পুত্র শিহাব (২০), জামতলার গৌছ উদ্দিনের পুত্র বক্কর (২০), আফাজ উদ্দিনের পুত্র প্রমি (২২) ও বড়পাড়ার নূর ইসলামের পুত্র শিব্বির (২৫)-এর বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করে। সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, পশ্চিম নতুনপাড়ায় শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় ৪ বখাটের বিরুদ্ধে থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছি।