শাকিব খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খানের ওপর আরোপ করা চলচ্চিত্র পরিবারের নিষেধাজ্ঞা (প্রকারান্তরে বয়কট) স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি সালমান মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে দেশীয় পুরনো কিংবা নতুন কোনো ছবিতে শাকিব খানের অভিনয় করতে আর কোনো বাধা রইল না। গত ২৩ জুন থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এ নায়কের সঙ্গে কোনো ছবিতে চলচ্চিত্র পরিবার সংশ্লিষ্ট কোনো সদস্য কাজ করবেন না বলে লিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনকি শিল্পী সমিতি থেকে তার সদস্যপদ বাতিলের কথাও জানিয়েছেন নেতারা। এ ঘোষণার পর থেকে তাকে নিয়ে পুরনো শুটিং শেষ না হওয়া ছবির প্রযোজকরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি নতুন চুক্তিবদ্ধ ছবির প্রযোজকরাও ছিলেন শংকায়। তাই বাধ্য হয়ে ‘শাপলা মিডিয়া’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে চলচ্চিত্র পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করা হয়।শাপলা মিডিয়া থেকে শাকিব খান তিনটি ছবি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।ছবি তিনটি হল ‘আমি নেতা হবো’, ‘মামলা হামলা ঝামেলা’ ও ‘কেউ কথা রাখে না’। এই ছবিগুলোর মধ্যে একটির শুটিং সোমবার থেকে শুরুর কথা ছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র পরিবারের ‘বয়কট’ ঘোষণার কারণে শাকিবকে নিয়ে শুটিং করা সম্ভব হয়নি। তাই বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। নতুন তিনটি ছবিতে শাকিব খান যেহেতু নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে অন্য যারা শাকিব খানকে নিয়ে নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ করাবেন কিংবা আলোচনা চলছে, সেসব ছবিতেও কাজ করতে কোনো বাধা থাকবে না।হাইকোর্টের এ রায় প্রসঙ্গে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শাকিব খান যুগান্তরকে বলেন, আমি এমন কিছু করিনি যে, আমাকে দেশে কাজ করতে বাধা দেয়া হবে কিংবা আমার সঙ্গে কাজ করবেন না কেউ। সবসময় বলেছি, আমি দেশীয় সিনেমার পক্ষে। যৌথ প্রযোজনার নামে কোনো ধরনের প্রতারণা হলে সেটার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। কিন্তু কেউ কেউ আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে আমাকে বয়কট কিংবা নিষিদ্ধ করছেন- এটা মোটেও কাম্য নয়। শাকিব খান বলেন, নতুন ছবিগুলোর শুটিং শুরু করার জন্য মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। এখনও বলছি, ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আছেন সবাই আমরা একটি পরিবার। একসঙ্গে থাকতে গেলে বাদানুবাদ হবেই। সেটাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা ভালো। শাকিব বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করি আমরা। সুতরাং নিজেদের মধ্যকার বিবাদ বাইরে নিয়ে আসা, কাউকে নিষিদ্ধ করা কিংবা কাজ করার জন্য আদালত পর্যন্ত যাওয়া এটা শিল্প-সংস্কৃতির মানুষদের জন্য শোভা পায় না। বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞরা আবারও ভাববেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।
রোববার বিচারপতি সালমান মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে দেশীয় পুরনো কিংবা নতুন কোনো ছবিতে শাকিব খানের অভিনয় করতে আর কোনো বাধা রইল না। গত ২৩ জুন থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এ নায়কের সঙ্গে কোনো ছবিতে চলচ্চিত্র পরিবার সংশ্লিষ্ট কোনো সদস্য কাজ করবেন না বলে লিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনকি শিল্পী সমিতি থেকে তার সদস্যপদ বাতিলের কথাও জানিয়েছেন নেতারা। এ ঘোষণার পর থেকে তাকে নিয়ে পুরনো শুটিং শেষ না হওয়া ছবির প্রযোজকরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি নতুন চুক্তিবদ্ধ ছবির প্রযোজকরাও ছিলেন শংকায়। তাই বাধ্য হয়ে ‘শাপলা মিডিয়া’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে চলচ্চিত্র পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করা হয়।শাপলা মিডিয়া থেকে শাকিব খান তিনটি ছবি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।ছবি তিনটি হল ‘আমি নেতা হবো’, ‘মামলা হামলা ঝামেলা’ ও ‘কেউ কথা রাখে না’। এই ছবিগুলোর মধ্যে একটির শুটিং সোমবার থেকে শুরুর কথা ছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র পরিবারের ‘বয়কট’ ঘোষণার কারণে শাকিবকে নিয়ে শুটিং করা সম্ভব হয়নি। তাই বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। নতুন তিনটি ছবিতে শাকিব খান যেহেতু নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে অন্য যারা শাকিব খানকে নিয়ে নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ করাবেন কিংবা আলোচনা চলছে, সেসব ছবিতেও কাজ করতে কোনো বাধা থাকবে না।হাইকোর্টের এ রায় প্রসঙ্গে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শাকিব খান যুগান্তরকে বলেন, আমি এমন কিছু করিনি যে, আমাকে দেশে কাজ করতে বাধা দেয়া হবে কিংবা আমার সঙ্গে কাজ করবেন না কেউ। সবসময় বলেছি, আমি দেশীয় সিনেমার পক্ষে। যৌথ প্রযোজনার নামে কোনো ধরনের প্রতারণা হলে সেটার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। কিন্তু কেউ কেউ আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে আমাকে বয়কট কিংবা নিষিদ্ধ করছেন- এটা মোটেও কাম্য নয়। শাকিব খান বলেন, নতুন ছবিগুলোর শুটিং শুরু করার জন্য মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। এখনও বলছি, ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আছেন সবাই আমরা একটি পরিবার। একসঙ্গে থাকতে গেলে বাদানুবাদ হবেই। সেটাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা ভালো। শাকিব বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করি আমরা। সুতরাং নিজেদের মধ্যকার বিবাদ বাইরে নিয়ে আসা, কাউকে নিষিদ্ধ করা কিংবা কাজ করার জন্য আদালত পর্যন্ত যাওয়া এটা শিল্প-সংস্কৃতির মানুষদের জন্য শোভা পায় না। বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞরা আবারও ভাববেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।