সড়ক দুর্ঘটনায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চিন্তাহরণ দাসের অকাল মৃত্যুতে ছাতকের শিক্ষকমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিদায়বেলা প্রিয় মানুষটির মুখ শেষবারের মতো একনজর দেখতে কর্মকর্তার ছাতক শহরের বাগবাড়ির বাসায় ভীড় করছেন সহকর্মী, বন্ধ-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খিরা। তার অকাল মৃত্যুতে সহকর্মীসহ শিক্ষক মহলের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

পৃথক বিবৃতিতে ছাতক উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মঈনুল হুসেন চৌধুরী, ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক ও গোবিন্দগঞ্জ বহমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফজলুল করিম বকুল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারন সম্পাদক মিসবাহুজ্জামান শিলু, বাগবাড়ী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীন চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক নিত্যরঞ্জন দাস, এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন তালুকদার, মন্ডলীভোগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলালুল ইসলাম, বাঁশখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন, শিক্ষক তমাল পোদ্দারসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ চিন্তাহরন দাসের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, চিন্তারন দাস ছাতক উপজেলা সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন ও বাগবাড়ী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ডলি রানী দাসের স্বামী। গত বৃহস্পতিবার নিজ কর্মস্থল থেকে ছাতকে আসার পথে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের চানপুর সংলগ্ন আউশা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরন করেন। এ সময় একই সিএনজিতে থাকা কালারুকা ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের রুছমত আলীর পুত্র কলেজ ছাত্র রুহুল আমিন দুলন নিহত হয়। ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বাদ আছর শিমুলতলা গ্রামের মসজিদ মাঠে জানাযা শেষে পঞ্চায়েতি কবরস্থানে তার দাপন সম্পন্ন হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn