শ্বশুরবাড়ির উঠোনের মাটি খুঁড়ে মিলল নিখোঁজ গৃহবধূর লাশ
বার্তা ডেস্ক :: কক্সবাজারের মহেশখালীতে ছয় দিন নিখোঁজ থাকার পর শ্বশুরবাড়ির উঠোনে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে গৃহবধূ আফরোজার লাশ। শনিবার রাতে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি আবদুল হাই। নিহত আফরোজা বেগম (২৪) হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসহাকের মেয়ে। তার স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। তিনি উত্তর নলবিলা এলাকার হাসান বশিরের ছেলে। ওসি বলেন, গত ১২ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ি থেকে আফরোজা বেগম ‘নিখোঁজ’ হন। এ ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ ইসহাক বাদী হয়ে রাকিব হাসান বাপ্পীকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। স্বজনদের পাশাপাশি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও আফরোজার সন্ধান পাচ্ছিল না। মহেশখালী থানা পুলিশ শনিবার রাত ১১টায় আফরোজার লাশ উদ্ধার করে তার স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পির বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায়। স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে বাপ্পির সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
কিছু দিন আগে মামলায় আপসরফার মাধ্যমে বাপ্পি স্ত্রী আফরোজাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাযন। এরই মধ্যে গত ১২ অক্টোবর বাপ্পির মা রোকেয়া হাসান তার পুত্রবধূ আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে বলে আফরোজার বাবার বাড়িতে খবর দেন। এর পর থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তখন থেকেই রাকিব হাসান বাপ্পি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বাপ্পির বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। বাপ্পির ১ম স্ত্রীর শিশুকন্যার তথ্যমতে, শনিবার রাত ১১টায় এএসপি মহেশখালী সার্কেল ও মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই ঘটনাস্থলে গিয়ে বাপ্পির উঠোনের মাটি খুঁড়ে আফরোজার লাশ উদ্ধার করেন। সৌজন্যে : যুগান্তর