বার্তা ডেস্ক:: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন দেশের সব বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক (সফটওয়্যার টেকনোলজি) নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জমি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ এবং গাইডলাইনের আলোকে বিভাগ ও জেলাগুলোয় এসব পার্ক নির্মাণ করা হবে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে খালেদা খানমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রস্তাবিত ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে আইসিটি প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে তথ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদফতরের নেই। আনোয়ারুল আজীম আনারের এক প্রশ্নের জবাবে পলক জানান, বিশাল বেকার সমাজকে তথ্য-প্রযুক্তির কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) নানা পদক্ষেপ ও কার্যক্রম নিয়েছে। এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৮৮ জনকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ৮২১ জনের আইসিটি শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে। ই-গবর্নেন্স ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে দুই হাজার ৯৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তাকে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বেগম শামসুন নাহারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ২১ জেলায় সাড়ে ১০ হাজার নারীর স্ব-কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির জন্য সরকারি অর্থায়নে আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
প্রতিবছর চার কোটি মোবাইল ফোনসেট আমদানি হয়: ফখরুল ইমামের সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলাদেশ ট্রেডিশনাল অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন দেশি-বিদেশি ১০টি কোম্পানি আমাদের দেশে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার নির্মাণ করছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমাদের চার কোটি মোবাইল ফোন আমদানি করতে হয়। তিনি বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য চারটি সেক্টরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমত, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, সার্ভিস ও গবেষণা। ১০ বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির অবস্থা ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে এখন আইটি সেক্টর থেকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি করা হচ্ছে। ট্রেডিশনাল অর্থনীতির সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে দেশ ধাপে ধাপে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইন্টারনেট গ্রাহক ৯ কোটি ৪৪ লাখ : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৯ কোটি ৪৪ লাখ। তবে দেশে ইন্টারনেটের দাম কমেনি এমন তথ্য সঠিক নয়। বরং দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হয়েছে। ইন্টারনেটের সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রতি মেগাবাইট এক টাকা। এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৭৯ বার