একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিভিউ শুনানিতে আপিল বিভাগ বলেছেন, সাক্ষ্য প্রমাণসহ সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছি। রোববার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে অ্যাটর্নি জেনারেল সাঈদীর সাজা পরিবর্তন করে ফাঁসির আবেদন জানালে আদালত এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপিল বিভাগ যখন একবার শুনে কাউকে সাজা দেয় রিভিউতে সেটা পরিবর্তন রেয়ার।’ এরপর সাঈদীর রিভিউ শুনানি আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

এর আগে আজ দুপুর ১২টার ২মিনিটে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদন ও খালাস চেয়ে করা সাঈদীর রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়। আদালতে সাঈদীর পক্ষে শুনানি করছেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সাঈদীর রিভিউ শুনানির জন্য ১৪ মে দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ১৭ জানুয়ারি আপিলের রায় থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করেন সাঈদী। মোট ৯০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস পেতে ১৬টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর অমৃত্যুকারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার জন্য সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনে ৫টি গ্রাউন্ড দেখানো হয়। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত সাঈদীর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn