রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপে এবার আওয়ামী লীগের প্রশংসা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। বলেছেন, দেশের সকল অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে।বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে সিইসি এ প্রশংসা করলেন। বিএনপির সঙ্গে সংলাপেও দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুঃপ্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপির শাসনামলের প্রশংসা করেছিলেন সিইসি। বিএনপির প্রতি সিইসির এমন প্রশংসা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বলার কারণে কাদের সিদ্দিকীর দল প্রতিবাদ করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে। সংলাপে কাদের সিদ্দিকী সিইসিকে প্রশ্ন রাখেন, জিয়া গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা হলে কাকে গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে চান সিইসি। কেবল কাদের সিদ্দিকী নন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এক বিবৃতিতে সিইসির এমন মন্তব্যকে সংবিধান বিরোধী আখ্যা দিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহবান জানান। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিইসির এমন বক্তব্যকে কৌশল হিসেবে মনে করছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ঐতিহাসিক সব সফল আন্দোলন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। নির্বাচন কমিশনও আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাপক স্বাধীনতা পেয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অনেক দেশের কমিশনের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে।’ সংলাপ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির পর এবার আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন সিইসি। সংলাপের শুরুতে টানা ৯ মিনিট সিইসি আওয়ামী লীগের ইতিহাস, অর্জন তুলে ধরেন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করেন।সিইসি বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা উল্লেখ করে তার রাজনৈতিক সংগ্রাম, দল গঠন, দেশের স্বাধীনতা অর্জন, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় সরকার গঠনসহ তার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও সব সফল উন্নয়নের প্রশংসা করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নিয়েছে। তবে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে দেশে না থাকায় সংলাপে অংশ নেননি।
প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, মতিয়া চৌধুরী এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, মোহাম্মদ নাসিম এমপি, এইচ টি ইমাম, ড. মসিউর রহমান, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, অ্যাম্বাসেডর জমির, মো. রশিদুল আলম. মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মণি এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, আব্দুর রহমান এমপি, এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, ড. হাছান মাহমুদ এমপি, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ও অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn