সিলেটেরসহ ৫ পরিদর্শক ও স্ত্রীদের সম্পদের হিসাব চায় দুদক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের পরিদর্শকসহ পাঁচ পরিদর্শক ও তাদের প্রত্যেকের স্ত্রীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে পাঠানো চিঠিতে তাদেরকে আগামি ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে। পরিদর্শক ও তাদের স্ত্রীরা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিলেটের পরিদর্শক মো. লায়েকুজ্জামান ও তার স্ত্রীর সাহিনা আক্তার মুন্সী, ঢাকা মেট্রো খিলগাঁও সার্কেলের পরিদর্শক মো. সুমনুর রহমান ও তার স্ত্রী পেট্রোবাংলার উপব্যবস্থাপক তাছলিমা আক্তার, রমনা সার্কেলের পরিদর্শক মো. শামসুল কবির ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগম, সূত্রাপুর সার্কেলের পরিদর্শক মো. হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিকদার, তেজগাঁও সার্কেলের পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা পৃথক চিঠি তাদের বর্তমান ঠিকানা বরাবর পাঠানো হয়েছে। যেখানে আগামি ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। চিঠি বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, তারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাই চিঠি পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়। দুদকের উপপরিচালক এ কে এম মাহবুবুর রহমান অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন।