সিলেটের দু’জনসহ দেশসেরা ১২ মেধাবীকে পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শিক্ষা হচ্ছে এক ধরনের আলো। এ আলো থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হয় সে জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটাও কিন্তু হয়েছে গবেষণার ফসল হিসেবে। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা গণিতে ভয় পায়, বিজ্ঞানে ভয় পায়, এ কারণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছি। তাছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগারকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে এক সময় অনেক অপপ্রচার হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি। বিশ্ব দরবারে সব সময় মাথা উঁচু করে চলবো। এখন বাংলাদেশ মানে বিশ্বের বিস্ময়। আজ তোমরা যারা পুরস্কার পেলে তোমাদেরকেই এ দেশকে আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। এ দায়িত্ব তোমাদের ওপর। শিক্ষা সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) মো. সোহরাব হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি, শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন আর্শিয়া নওয়ার। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানসহ সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ। প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অসাধারণ মেধা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে বের করা। তাদেরকে ভবিষ্যতে জাতীয় মেধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন : ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে প্রথম হয়েছেন মানিকগঞ্জের এস কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইশরাত জাহান জয়নব (৮ম শ্রেণি), দ্বিতীয় হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা স্কুলের অর্নব দাস (৯ম শ্রেণি) ও তৃতীয় হয়েছেন খুলনা পাবলিক স্কুলের খুলনা আসিফ আদনান অমি (একাদশ শ্রেণি)। দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের দিদারুল ইসলাম সিফাত (৮ম শ্রেণি), দ্বিতীয় মতিঝিল সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের মো. সানজাদ হোসেন (১০ম শ্রেণি)ও তৃতীয় হয়েছেন সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজ, চট্টগ্রামের আগাস্ট দীপ নিলয় (একাদশ শ্রেণি)। গণিত ও কম্পিউটার বিষয়ে প্রথম হয়েছেন ডক্টর খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তাজরীয়ান তাহরীর (৮ম শ্রেণি), দ্বিতীয় খুলনা জেলা স্কুলের প্রান্তিক কুমাড় মন্ডল (১০ শ্রেণি) ও তৃতীয় হয়েছেন ঢাকার নটরডেম কলেজের অনিকা সাহা (একাদশ শ্রেণি)। বাংলাদেশ স্ট্যাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রথম হয়েছেন সিলেটের ব্লু বার্ড স্কুল এণ্ড কলেজের আরশিয়া নাওয়ার (৮ম শ্রেণি), দ্বিতীয় সিলেট সরকারি পাইলট স্কুলের প্রতীক তীর্থ (১০ম শ্রেণি) ও তৃতীয় হয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের জিনান (একাদশ শ্রেণি)।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। সারা দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। প্রতিবছর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তিনটি গ্রুপ ও চারটি বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত সেরা ১২ জন জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। প্রতিটি জেলা থেকে তিনটি গ্রুপ ও চারটি বিষয়ে নির্বাচিত সেরা ১২ জন বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি বিভাগ থেকে একই ভাবে ১২ জন করে ও ঢাকা মহানগর সহ মোট ১০৮ জন প্রতিযোগি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।