সিলেটে হামলার জের, সারাদেশে ‘শিবিরবিরোধী’ অ্যাকশনে ছাত্রলীগ
সিলেটে ‘শিবিরের’ হামলায় ছাত্রলীগ কর্মীর উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় সন্ত্রাসী হামলায় হাত কাটা যাওয়ার ঘটনায় জামায়াতের ছাত্র সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে সারাদেশে যেখানেই ছাত্রশিবির সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলছে স্থানীয় ছাত্রলীগ। সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রশিবিরের কর্মীদের আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে আটক, জামায়াত-শিবিরের কার্যালয় ভাংচুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ, সড়ক অবরোধ এবং মানববন্ধনসহ শিবিরের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ছাত্রলীগ। শিবিরকর্মীদের পেলেই ‘ধোলাই’ করতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদেরকে নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবির কর্মী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিবিরকর্মী কর্তৃক ছাত্রলীগকর্মী মারাত্মক আহত এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশের ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই ঘটনা প্রচার হওয়ার পর পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছাত্রলীগ। লক্ষ্মীপুরের ত্রিমোহনী এলাকায় শিবিরের দুই কর্মীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। পর দিন রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে শিবিরের ১২ নেতা-কর্মীকে বেদম পিটুনি দেয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এদিকে ৯ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশে শিবিরের বিরুদ্ধে ‘অ্যাটাকে’ যেতে নির্দেশ দেন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এর পর পরই দেশের বিভিন্নস্থানে শিবিরবিরোধী অভিযানে নামে ছাত্রলীগ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সন্দেহে গণিত নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানকে এবং ইংরেজি বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলামকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগ কর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর অফিস ভাংচুর করে।
গত বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট চট্টগ্রাম কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র গিয়াস উদ্দিনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের কর্মী সন্দেহে মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামে একজনকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় ছাত্রলীগ।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল বাসিত রুম্মান সিলেটভিউ২৪ডটকমকে জানান, ‘সিলেট মহানগর ছাত্রলীগকর্মীদের উপর শিবিরকর্মীদের হামলায় ফুঁসে উঠেছে সারাদেশ। আমরা শিবিরের এহেন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ সড়ক অবরোধ করে রেখেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে আমরা শিবিরের বিপক্ষে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। যেখানেই শিবির সেখানেই প্রতিবাদ অ্যাকশন।’