সিলেট :: সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সিসিক মেয়র আরিফকে আসামী করে ৩ আলোচিত মামলার চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিস্ফোরক মামলা, দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টায় সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ও বিস্ফোরক মামলায় পৃথক চার্জ গঠন করেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসামীদের আদালতে নেওয়া হয়। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহারিয়ার কবিরের আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এসব মামলার চার্জ গঠন করেন আদালত। এই তিন মামলায়ই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবার, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গৌছকে আসামি করা হয়েছে। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি সরওয়ার হোসেন আবদাল বলেন, সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনার দুটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর শাহ এএসএম কিবরিয়ার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার বিস্ফোরক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীদের আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে এই তিন মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলো বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আজ কিবরিয়া হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে গেছে। এই মামলার কার্যক্রমও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে।

উলে­খ্য, ২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাই বাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই বোমা হামলায় এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৭০ জন। এ ঘটনায় ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১১ সালে তদন্তের প্রেক্ষিতে আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে তৃতীয় দফায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফর জামান বাবর, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে দু’জন মারা গেছেন। নানা কারণে ১৫ বছর ধরে ঝুলে আছে এই মামলার কার্যক্রম। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের পরও মামলার কার্যক্রমে গতি পাচ্ছে না। বৃহস্পতিবারও সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় আরেকদফা পিছিয়ে যায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তারিখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn