সিলেট আ.লীগের কমিটিতে ‘সাবেক’ হচ্ছেন যারা
সিলেট:: সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। দুটি ইউনিটেই সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দেয়া কমিটি নিয়ে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কমিটিতে যোগ্য পদ না পাওয়া ও বাদ দেয়ার অভিযোগ এনে দুটি ইউনিটেই ‘বিকল্প কমিটি’ জমা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় দপ্তরে। কমিটি নিয়ে এধরণের বিরোধের বিষয়ে বিব্রত আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। তবে এ সৃষ্ট বিরোধের অন্যতম কারণ হিসেবে রয়েছে জেলা ও মহানগর ইউনিটের বিগত কমিটির প্রায় দুই ডজন নেতাকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া। বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে, বয়সের ভারে ন্যুজ্ব কয়েকজন নেতাকর্মী ছাড়াও নানা অভিযোগের কারণে কিছু সক্রিয় নেতাদেরও বাদ দেয়া হয়েছে এবারের কমিটি থেকে। ফলে বাদ যাওয়া নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কেন্দ্রে আরেকটি বিকল্প কমিটি জমা দিয়েছেন।
সুত্র জানিয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে এবার বাদ পড়ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, এডভোকেট শেখ মখলু মিয়া, এডভোকেট ময়নুল হক, অধ্যক্ষ শামসুল হকসহ কয়েকজন নেতা। এদের মধ্যে শেখ মখলু মিয়া স্থায়ীভাবে প্রবাসে অবস্থান করছেন। জেলার তুলনায় মহানগর ইউনিটে বাদ পড়ার সংখ্যা কিছুটা বেশী। মহানগর থেকে এবার সাবেক হতে যাচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম, সিরাজ বক্স, মফুর আলী, তুহিন কুমার দাস, তপন মিত্র, জগদীশ দাস, এডভোকেট শামসুল ইসলাম, ফাহিম আনোয়ার চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন রানা, রাধিকা রঞ্জন হোম চৌধুরী, শাহানারা বেগম, প্রিন্স সদরুজ্জামান, মিছবাউল ইসলাম সুইট, আবরার আহমদসহ আরো কয়েকজন সদস্য।
এদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম, সিরাজ বক্স, তুহিন কুমার দাস, ফাহিম আনোয়ার চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন রানা, মিফতাউল ইসলাম সুইট বিগত দিনে দলীয় কার্যক্রমে একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আর রাধিকা রঞ্জন হোম চৌধুরী, আবরার আহমদ দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে। রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেও খসড়া কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন তপন মিত্র, জগদীশ দাস, এডভোকেট শামসুল ইসলাম। তবে বাদ পড়াদের অনেককেই উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হন এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। আর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হন অধ্যাপক জাকির হোসেন। কিন্তু মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান আর করোনা পরিস্থিতির কারণে আটকে যায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। তবে এক সপ্তাহ আগে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সিলেটসহ পূর্ণাঙ্গ না হওয়া সকল ইউনিটের কমিটি ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমন নির্দেশনার পর কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিটি জমা দেন তারা।